বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিখিল জৈনের (nikhil jain) সঙ্গে তাঁর বিয়ে (marriage) বৈধ নয়, সম্প্রতি এমনি বিষ্ফোরক মন্তব্য করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান (nusrat jahan)। তুরস্কে তাঁদের যে বিয়ে হয়েছিল তা নাকি আইনত সিদ্ধ নয়। নিখিলের সঙ্গে তিনি সহবাস করেছেন মাত্র। আর নিজের এই দাবিকে মান্যতা দিতে এবার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিখিলের সব স্মৃতিই মুছে ফেললেন নুসরত।
নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে নিখিলের যাবতীয় ছবি মুছে ফেলেছেন অভিনেত্রী। তুরস্কের বোদরুমে তাঁদের রাজকীয় বিয়ের সব স্মৃতিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নুসরত। এমনকি বিয়ের পরপর রথযাত্রায় ইস্কনে নিখিল নুসরত ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ছবি নিয়ে তুমুল চর্চা হয়েছিল সেই ছবিও এখন অদৃশ্য নুসরতের ইনস্টা হ্যান্ডেল থেকে। শুধুমাত্র হানিমুনে গিয়ে নিখিলের তুলে দেওয়া কিছু ছবি এখনো রেখে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার এক বিবৃতি জারি করে নুসরত বলেন, ‘নিখিলের সঙ্গে আমি সহবাস করেছি, বিয়ে নয়। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’ তুরস্কে গিয়ে রাজকীয় ব্যবস্থাপনায় ‘ড্রিম ওয়েডিং’ করেছিলেন নুসরত নিখিল। কিন্তু দু বছর পর নুসরত দাবি করলেন সেই বিয়ে নাকি মিথ্যে। যে পদ্ধতিতে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন তা সেই দেশে অবৈধ তো বটেই, উপরন্তু ভারতীয় আইনে হিন্দু মুসলিম বিয়ের যে বিশেষ আইন রয়েছে তাও মানা হয়নি তাঁদের বিয়েতে। ফলে যে বিয়েটাই হয়নি তার আবার কিসের বিচ্ছেদ?
নুসরতের আরো দাবি অনুমতি ছাড়াই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মধ্যরাতে টাকা তুলে নিয়েছেন নিখিল। তাঁদের বিয়ের উপহার, গয়নাগাঁটি, জামাকাপড় সমস্তই এখনো নিখিলের পরিবারের কাছেই রাখা রয়েছে। উত্তরে নিখিল জানিয়েছেন, নুসরতের এমন মন্তব্যে মানুষ হিসেবে তিনি মর্মাহত। তবে এখন তিনি নুসরতকে কিছুই বলবেন না। যা বলার আদালতে বলেছেন এবং ভবিষ্যতেও তাই করবেন।
তবে নুসরতের দাবির সঙ্গে কিন্তু মিল নেই সরকারি নথির। পশ্চিমবঙ্গ থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদদের তালিকায় নুসরত জাহানের সম্পর্কে তথ্যে স্পষ্ট লেখা রয়েছে তিনি বিবাহিত। স্বামীর নাম নিখিল জৈন এবং বিয়ের তারিখ ২০১৯ এর ১৯ জুন। উল্লেখ্য, সংসদকে যে তথ্য দেওয়া হয় সেটাই দেখা যায় ওয়েবসাইটে। সেক্ষেত্রে নুসরতের দাবি অনুযায়ী যদি বিয়েটা অবৈধই হয় তবে সংসদকে ভুল তথ্য কেন দিলেন নুসরত? উঠছে প্রশ্ন।