বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকের (Karnataka) দক্ষিণ কন্নড়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ হিন্দু রিলিজিয়াস এন্ডোমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ফান্ড থেকে মসজিদ আর মাদ্রাসার ইমামদের কোভিড রিলিফ হিসেবে ভাতা দেওয়ার সরকারের ঘোষণার বিরোধিতা করেছে। এরপরই সরকার তাঁদের সিদ্ধান্ত বদলেছে। সম্প্রতি কর্ণাটক সরকার হিন্দু রিলিজিয়াস এন্ডোমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ফান্ড থেকে ছোটখাটো মন্দিরের পুরোহিতদের পাশাপাশি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ৩ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল।
Karnataka govt shelves Covid relief to Muslim clerics after VHP’s opposition. Govt also ordered that the 'Tasdik' allowance being given to 764 religious institutions be stopped.
Read: https://t.co/2BjPWXLWyB pic.twitter.com/iSeFbq2cxG
— Darshan Devaiah B P (@DarshanDevaiahB) June 10, 2021
মন্দির ফান্ডের টাকা অন্য জায়গায় ব্যবহার করার বিরোধিতা করেছিল VHP। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী কোটা শ্রীনিবাস পুজারিকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিল। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছিল, ‘হিন্দু মন্দিরের প্রাপ্ত ধনরাশির ব্যবহার শুধুমাত্র মন্দির আর হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য হওয়া উচিৎ।”
এই মামলা বিতর্ক বাড়তেই মন্ত্রী শ্রীনিবাস পুজারি সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আশ্বাস দেন। একটি আধিকারিক বয়ান জারি করে মন্ত্রী শ্রীনিবাস পুজারি বলেন, ‘বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে প্রাপ্ত আবেদনের পর আধিকারিকদের এক ধার্মিক বিভাগ থেকে অন্য ধর্ম সংস্থানে দেওয়া আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা তৎকালীন প্রভাবে রদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী শ্রীনিবাস পুজারি বলেছেন যে, রাজ্যে মোট ৭৬৪টি অন্য ধার্মিক সংস্থানকে হিন্দু মন্দিরের ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছিল। সেটা এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
The #VishwaHinduParishad in Karnataka’s Dakshina Kannada district opposed the government's decision to pay allowances to Imams of Mosques and Madrasas in the district as #Covid lockdown compensation from the funds of the Hindu religious endowment department. @IndianExpress pic.twitter.com/YH2fCG34xj
— Darshan Devaiah B P (@DarshanDevaiahB) June 9, 2021
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় VHP সচিব শরণ পম্পবেল বলেন, সরকার যদি মানুষকে আর্থিক সাহায্য দিতে চায় তাহলে তাঁদের অন্য কোনও বন্দোবস্ত করতে হবে। কর্ণাটক সরকার মৌলবিদের টাকা দিতে চাইলে ওয়াকফ বোর্ডের মসজিদ আর মাদ্রাসাগুলিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিক আর সেগুলোর টাকা ইমামদের ভাতা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করুক। তিনি জানান, ইতিমধ্যে হিন্দু মন্দিরের ফান্ডের টাকা দিয়ে অজস্র মসজিদ আর ইমামদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।