বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার রাজনীতি আজ মুকুলময়। সকাল থেকে চারিদিকে শুধু মুকুল রায়ের (Mukul Roy) নামই চলছে। কারণ উনি আজ বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ৪ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে ফের তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন। শুধু উনিই না, ওনার সঙ্গে ওনার পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও আজ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। দুজনেই ইতিমধ্যে তৃণমূল ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন। আরেকদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূল ভবনে যাচ্ছেন।
আরেকদিকে, মুকুলের দলবদলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাট হাতে ময়দানে নামলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। টুইটারে একটি বিস্ফোরক পোস্ট করে মুকুল রায়কে একহাতে নেন তিনি। উল্লেখ্য, দিন কয়েক ধরে সৌমিত্র খাঁয়ের দলবদলের জল্পনা উঠেছিল। কিন্তু কদিন আগেই তিনি স্পষ্ট জানান যে, বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছেন না তিনি। এরপর দু’দিন আগে তিনি আবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন। আমিও সেদিন তৃণমূলে যাব।”
আর এবার মুকুল রায়ের দলত্যাগ নিয়ে একটি টুইট করে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘বাংলার মীরজাফরের জন্য আজকে বিজেপির এই অবস্থা। ওঁরা যত তাড়াতাড়ি চলে যায়, তত ভালো। আমরা বিজেপির সৈনিক হয়ে ছিলাম, আছি আর থাকব। কোনও বেইমান-গদ্দার আমাদের লড়াই করার মানসিকতা ভেঙে দিতে পারবে না।” তিনি এই টুইটে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়কেও ট্যাগ করেছেন। তিনি এই টুইট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়বার পাত্র নন।
বাংলার মীরজাফরের জন্য আজকে বিজেপির এই অবস্থা। ওঁরা যত তাড়াতাড়ি চলে যায়, তত ভালো। আমরা বিজেপির সৈনিক হয়ে ছিলাম, আছি আর থাকব। কোনও বেইমান-গদ্দার আমাদের লড়াই করার মানসিকতা ভেঙে দিতে পারবে না। @MukulR_Official @BJP4Bengal @ani_digital @abpanandatv @Zee24Ghanta @News18Bengali
— Saumitra khan (@KhanSaumitra) June 11, 2021
উল্লেখ্য, কদিন আগে বিজেপি নেতা রাজীব ব্যানার্জীর টুইটের পরেও ওনাকে একহাতে নিয়েছিলেন সৌমিত্রবাবু। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘যখন ৪২ জন বিজেপির কর্মীর হত্যা হয়েছিল, তখন চুপ ছিলেন কেন? ৪২ হাজার ভোটে হারের পর মনে পড়ল এই কথা?” প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে হোক আর পরে, সৌমিত্র খাঁ তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি। তিনি নিজের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আর যাইহোক তিনি বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছেন না। আর সেই কারণেই হয়ত, ওনাকে আচমকাই দিল্লী ডেকে নেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আগামীদিনে ওনাকে আরও বড় দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।