‘আগে নিজের বাবাকে বোঝাক’, দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ কুণালের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে আবারও তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়। এরপরই শনিবার কুণাল ঘোষের (kunal ghosh) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজীব ব্যানার্জী। সবমিলিয়ে আবারও সরগরম হয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। চর্চার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দলত্যাগ, দলবদলু।

তবে এপ্রসঙ্গে শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় এক সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) বলেন, ‘বাংলায় দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। তবে আমি বিরোধী দলনেতা হয়ে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ২-৩ মাস সময় লাগলেও আমি পদ্ধতি তৈরি করে দেখাবো। বাংলায় কার্যকর করে দেখাবো দলত্যাগবিরোধী আইন। দলবদলের ক্ষেত্রে সেই আইন বাধ্যতামূলক থাকবে’।

b70684decbd7283e5efd1b151e99e6ca 1595937136005 1595937142894

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই কথার পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলছেন তো শুভেন্দুবাবু , পারলে এই আইনটা প্রথমে ওনার বাবাকে গিয়ে বোঝাক। নিজের বাড়ি থেকেই এই আইনের পালন শুরু করুক। সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও ওনার বাবা পদত্যাগ না করেই অন্য দলে গিয়ে যোগ দিয়েছেন। তাই জ্ঞানটা আগে নিজের বাবাকে দিক’।

প্রসঙ্গত শুক্রবার মুকুল রায় আবারও তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর শনিবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন রাজীব ব্যানার্জী। যদিও এটিকে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলে দাবি করেছেন। তবে রাজীববাবু বলেন, ‘আমি এখনও বলছি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা একটি সরকারে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কেউ যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চায়, সাম্প্রদায়িকত দেখাতে চায়, ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে চায়- আমি সেটার বিরোধী। আমি যেখানেই থাকি না কেন, আমি এটার বিরোধিতা করব। মুকুল রায় যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা ওনার ব্যাপার। ওনার সিদ্ধান্তের পর কে কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাও তাঁদের ব্যাপার’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর