বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তিনি দল ভাঙনের খেলায় নেমেছেন। নির্বাচনের আগে ওনার হাত ধরেই যেমন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া হিড়িক লেগেছিল। তেমনই এখন আবার সেই ওনার হাত ধরেও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। উনি দল ছাড়তেই বিজেপির বিধায়ক-নেতারা বেশী করে বেসুরো হয়ে উঠেছেন। আর এই কারণে হারের পর নতুন করে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
কারা দল ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছে? মুকুল রায় কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন? এই ভাবতে ভাবতেই বিজেপির আতঙ্ক বাড়ছে। আর এরই মধ্যে বেসুরোদের প্রতি কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে, প্রয়োজনে দলই বেসুরোদের বহিষ্কার করে শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটবে।
ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ লেখেন, ‘দল ছাড়াটা অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপি সেই লোকেদের উপর নির্ভর করে যাঁরা রক্ত দিয়ে, ঘাম ঝড়িয়ে দলটাকে দাঁড় করিয়েছে। বিজেপিতে থাকতে হলে ত্যাগ তপস্যা করতে হবে। যারা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে চান, তাঁরা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না, আমরাই রাখব না।”
নির্বাচনের হারের পর থেকেই দলবদলুরা বেসুরো হয়ে উঠেছেন। দীপেন্দু, সোনালী, সরলা, রাজীবরা দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েও দিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এখনও তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে এঁরা গদ্দার। কারণ এঁরা ক্ষমতার লোভে নির্বাচনের আগে দলের সঙ্গে বেইমানি করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। আর সেই কারণে এই গদ্দারদের আর দলে নেওয়া হবে না।
যদিও, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে সূত্রের খবর। শনিবার রাজীববাবু আচমকাই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর থেকেই ওনার দলবদলের জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। এরপর ওনার গাড়িতে ‘মা মাটি মানুষ” লেখা একটি স্কার্ফও দেখা যায়। এর থেকেই পরিস্কার যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর ওয়াপসি সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে আজকে দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি হিসেবে, বেসুরো রাজীবকে বিজেপি কবে দল থেকে বের করে, সেটাই দেখার অপেক্ষা মাত্র।