বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগে ফেসবুক লাইভে এসে তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাতর আবেদন করে কামারহাটির প্রশাসক হতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র। এমনকি তিনি ওই পদের জন্য বিধায়ক পদও ছাড়তে রাজি হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অন্য কাউকে দাঁড় করিয়ে জয়ী করে আনুন। আমি ওই দায়িত্ব পেয়ে সবকিছু বদলে দেব। যদিও, মদন মিত্রের সেই লাইভ বেশীক্ষণ ফেসবুকে ছিল না। কিছুক্ষণ পরেই তিনি সেটি নিজের ফেসবুক পেজ থেকে মুছে ফেলেন।
ঠিক এর পরের দিনই তৃণমূলে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। সেদিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কামারহাটির বিধায়ককে তাঁর ফেসবুক লাইভ নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেছিলেন যে, ‘যখন তখন যা কিছু চাওয়া যায় না।” যদিও মদন মিত্র বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর বলেন, দলনেত্রী আমার লাইভের প্রশংসা করেছেন, এবং আমাকে আরও বেশী করে লাইভ করতে বলেছেন।
সেই ঘটনার কেটে গিয়েছে বেশকিছু দিন। আর এখন সুত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, মদনবাবুকে তৃণমূলের বড়সড় পদ দিয়ে সম্মানিত করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হতে পারে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। বর্তমানে ওই জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু আগামী কয়েকমাসের মধ্যে ওনার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।
২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত একটানা দু’বছর জেলার সভাপতি ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। কিন্তু এবার ওনার আর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে সূত্রের খবর। কারণ তৃণমূল ‘এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি চালু করছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু যেহেতু রাজ্যের মন্ত্রী, সেহেতু ওনাকে আর জেলার সভাপতি করা হবে না। আর সেই কারণেই ওই অঞ্চলে ভাগ্যের শিকে ছিঁড়তে পারে মদন মিত্রর। কামারহাটির পুরপ্রশাসক না হতে পারলেও উনি এখন দলের মধ্যে বড় পদ পেতে চলেছেন।