‘গদ্দার, মীরজাফরের তৃণমূলে কোনও স্থান নেই’- বেনামেই হোর্ডিং পড়ল সব্যসাচী দত্তের এলাকায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুকুল রায় ঘরে ফিরতেই, ঘনিষ্ঠ সব্যসাচী দত্তেরও (Sabyasachi Dutta) বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসার একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কিন্তু সব্যসাচী দত্তকে ফিরিয়ে নেওয়া হলে, তাহলে তাঁর আপত্তি আছে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে আগেই জানিয়েছেন বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু (Sujit Bose)। এবার নাম না করেই বিধাননগর জুড়ে পোস্টার পড়ল, যেন কোন ‘মীরজাফর’, ‘গদ্দার’কে দলে ফিরিয়ে না নেওয়া হয়।

poster 2

সল্টলেকের চার নম্বর আইল্যান্ড, লাবনী, এফডি ব্লক, সিএ ব্লক-সহ বিভিন্ন জায়গা বড় বড় হোর্ডিং-এ ছেয়ে গিয়েছে। সেই হোর্ডিং-এ বড় বড় অক্ষরে পরিষ্কার লেখা রয়েছে, ‘বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোংরা ভাষা প্রয়োগ করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা ও বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের রায় দ্বারা পরাজিত, প্রত্যাখিত ও প্রমাণিত গদ্দার তথা প্রকৃত মীরজাফরের তৃণমূলে কোনও স্থান নেই। সৌজন্যে বিধাননগর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ’।

প্রসঙ্গত, মুকুল রায় ঘরে ফিরতেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল মুকুল রায়ের পর কি এবার ঘরে ফিরবেন সব্যসাচী দত্ত? তবে সব্যসাচী দত্তকে ফিরিয়ে নিলে তাতে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে সুজিত বসুর। ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সুজিত বসু। সব্যসাচীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর।

সুজিত বসু জানিয়েছেন, ‘বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তৃণমূলের সবরকম ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিলেন সব্যসাচী দত্ত। অশুভ শক্তির সঙ্গে মিলে গিয়ে মমতা ব্যানার্জী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসাও রটিয়েছেন। যার কারণে তাঁকে দলে ফেরানো ঠিক হবে না’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর