বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিনদিন বিজেপিতে বেসুরোদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২ মে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপির হার হতেই দলবদলুদের মোহভঙ্গ হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় না আসার তাঁরা আবার ক্ষমতার দিকেই যেতে চাইছে। ইতিমধ্যে দীপেন্দু, সরলা, সোনালীর মতো দলবদলুরা বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন, এবং তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। যদিও তৃণমূল এখনও তাঁদের ফিরিয়ে নেয়নি।
আরেকদিকে, কদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শাসক দলে যোগ দেওয়া মাত্রই তিনি বিজেপির বিক্ষুব্ধদের তৃণমূলে নেওয়ার কাজে নেমে পড়েছেন। আর এই কারণে ওনার দলত্যাগের পর বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক বেসুরো গেয়েছেন।
আর এবার বিধায়কের পর দলবদলু এক সাংসদও বেসুরো গাইলেন। ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দুর সঙ্গে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। বিজেপি হারের পর বেশকিছু দিন তিনি চুপচাপ থাকলেও এখন আচমকাই বেসুরো গাওয়া শুরু করেছেন। মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনের পরই যে তিনি বেসুরো হয়েছেন, সেটা বলাই বাহুল্য।
এদিন বিজেপির নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেছেন, ‘যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরা দলে মানিয়ে নিতে পারছে না। বিজেপি এখন এদের বিশ্বাস করতে চাইছে না। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম বিজেপি সাংগঠনিক দিক থেকে অনেক বড় দল। কিন্তু এখন আমার সেই ধারণা ভেঙেছে।”
সুনীল মণ্ডল আরও বলেছেন, ‘যারা বাইরে থেকে এসে বাংলায় প্রচার চালিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ভাষাগত সমস্যা ছিল। ওঁরা ভেবেছিল বাইরে থেকে বাংলায় এসে দু-চারদিন থেকেই বাংলার মানুষের মন জয় করা সম্ভব। কিন্তু তা হয়নি।” সুনীল মণ্ডল আরও বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা একটিও মানা হয়নি। ওকে নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।”