বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে মধুপুর থেকে চিকিৎসা করাতে আসেন নাগমা খাতুন। কিন্তু সকালে ভালোভাবে চিকিৎসার জন্য এলেও, বিকেলে ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি। করোনা আবহে ট্রেন কম চলাচল করায়, আসানসোল-ঝাঝা প্যাসেঞ্জার ধরার জন্য ছুট দেন নাগমা খাতুন। আর সেখানেই এক বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান মা এবং সন্তান দুজনেই।
কোলে চার মাসের সন্তান, আর তাঁকে বুকে আগলে নিয়েই ট্রেন ধরার জন্য ছুট দেন নাগমা খাতুন। কিন্তু ট্রেন ধরার সময় হাত ফসকে যায় তাঁর। যার ফলে এক পা ট্রেনে এবং এক পা ঢুকে যায় প্ল্যাটফমের্র মাঝে। ট্রেন কিন্তু থেমে থাকে না, ট্রেন নিজের গতি নিয়ে সবে চলতে শুরু করেছে।
এমন সময় এই দৃশ্য দেখে দেবদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এক আরপিএফ (RPF) জওয়ান কৃষ্ণ কুমার। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মাকে এবং সন্তানকে টেনে ট্রেনের তলা থেকে বের করে নিয়ে আসেন। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যান নাগমা এবং তাঁর মাস চারেকের সন্তান।
হইচই শুনে ট্রেনের গার্ড গাড়ি থামিয়ে দেন। তারপর প্ল্যাটফর্মেই সাময়িক চিকিৎসা করে নাগমা খাতুন এবং তাঁর সন্তানকে আবারও সেই ট্রেনেই তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় জীবন বাজি রেখে লাফিয়ে পড়া আরপিএফ জওয়ান কৃষ্ণ কুমারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় গোটা পূর্ব রেলের (Eastern Rail) আরপিএফ বিভাগ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সাহসিকতার জন্য কৃষ্ণ কুমারকে পুরস্কৃত করা হবে।