বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তান (Pakistan) ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলিতে মঙ্গলবার বাজেট পেশের সময় শাসক আর বিরোধী পক্ষের মধ্যে তুমুল হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়। গতকালের কয়েকটি বড়বড় সমস্যার একসঙ্গে সম্মুখীন হওয়া ইমরান সরকারের (Imran Khan Government) বিরোধী জোট পিডিএম অথলা পিএমএল-এন এর থেকে কোনও বিপদ না থাকলেও পাকিস্তানে বেড়ে চলা দুর্নীতির কারণে শাসক দলের অন্দরেই নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, দিনদিন সেনার সঙ্গেও সরকার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রান্তের প্রবীণ নেতা তথা পিটিআই-এর প্রধান সদস্য জাহাঙ্গীর তরিন মে মাসে শাসক দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নেন এবং প্রায় ৩৫ জন জেনার সঙ্গে নিজের একটি আলাদা সংগঠন তৈরি করে নেন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তরিন পাক সেনার ঘনিষ্ঠ বলেও জানা যায়। সুগার টাইকুন তরিন ইমরান খানের পার্টির সঙ্গে যুক্ত হতে অনেক নেতাদের পদহেলন করেছিল বলে জানা যায়।
শুধু তাই নয়, রাওয়ালপিণ্ডি দুর্নীতিতে পিটিআই-র দুই সদস্যের নাম সামনে আসার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চিন্তা আরও বেড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০১৭ সালে নতুন প্রকল্পের উদ্বোধনের পর কয়েক বিলিয়ন ডলার সম্পত্তির চুক্তি হয়েছিল। রাওয়ালপিণ্ডি দুর্নীতিতে দলের নেতাদের নাম প্রকাশ্যে আসার পর ইমরান খানের ‘নতুন পাকিস্তান” গড়ার স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ৩.৯ শতাংশ দেখিয়েছে ইমরান সরকার। আর বিরোধীরা ইমরান সরকারের সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। বিরোধীদের দাবি পাকিস্তান সরকারের এই পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ ভুল, উল্টে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা পুরোপুরি ধসে গিয়েছে। আর এই কারণে ইসলামাবাদ চীনের থেকে ৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার ঋণ হিসেবে চেয়েছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিদ্যুৎ বিভাগেও চীনের ১.৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার ধরা রয়েছে।
আর এতকিছুর পর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়ার নেতৃত্বাধীন পাক সেনা ইমরান সরকারের সঙ্গ ত্যাগ করছে। শোনা যাচ্ছে যে, ভারত আর পাকিস্তান সরকারের মধ্যে কয়েকমাস ধরে হওয়া আলোচনা নিয়ে বাজওয়া আর ইমরান খানের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে ইমরান সরকারে পাক সেনার সহযোগ থাকলেও আগের মতো আর ঘনিষ্ঠতা নেই।