বাংলাহান্ট ডেস্ক: অনুমতি মেলার পরেও জ্বলল না স্টুডিও পাড়ার আলো। মোট ২০টি বাংলা সিরিয়ালকে (serial) নির্দেশ অমান্যের জন্য পড়তে হয়েছে ফেডারেশনের হুমকির মুখে। লকডাউনে নির্দেশ অমান্য করে শুটিং চালু রাখার জন্য ফেডারেশনের নিশানায় এই ২০টি সিরিয়াল। টেকনিশিয়ানদের ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছে? বিধিনিষেধ চলাকালীন ফেডারেশনের নিয়ম অমান্য করে হোটেল, গুদামঘর, পার্কে শুটিং করার অভিযোগ উঠেছিল কয়েকটি সিরিয়ালের উপর। খড়কুটো, মিঠাই, শ্রীময়ী, খেলাঘর, যমুনা ঢাকি, রিমলি, অপরাজিতা অপু, কৃষ্ণকলি, তিতলি, বরণ, গ্রামের রাণী বীণাপাণি, দেশের মাটি, গঙ্গারাম, জীবন সাথী, মোহর, ওগো নিরুপমা, ফেলনা, কি করে বলবো তোমায়, ধ্রুবতারা ও সাঁঝের বাতি সহ মোট ২০টি সিরিয়াল ছিল এই তালিকায়।
টেকনিশিয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তারা এই নির্দিষ্ট ধারাবাহিকগুলিতে কাজ করতে পারবেন না। এখন গতকাল থেকে অনুমতি পাওয়ার পর ফ্লোরে শুটিং শুরু করতে গিয়েই বাধার সম্মুখীন হয়েছে এই সিরিয়ালগুলি। অভিযোগ উঠছে টেকনিশিয়ানদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে ফেডারেশনের তরফে। নিষেধ করা হয়েছে ভেন্ডর, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীদেরও। ফলে তারা কাজে আসতে চেয়েও আসতে পারছে না।
এই মর্মে বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয় আর্টিস্ট ফোরাম, বিভিন্ন চ্যানেলের কর্তা ও প্রযোজকদের তরফে। হোটেলে শুটিং করা যে দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তুলছে ফেডারেশন তা আগে থেকেই শুট করা বলে দাবি করেছেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসার্সের সভাপতি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যখন বাড়ি থেকে শুটিংয়ের অনুমতি দিয়েছিলেন তখন সেটা নিয়ে অভিযোগ উঠছে কেন? প্রশ্ন করেছেন তিনি।
অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “যিনি শুটিং বন্ধ রেখে সবার ভাতের থালায় লাথি মারছেন তাঁর রোজগারের উদ্দেশ্য কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রি নয়। তাহলে তাঁর এমন করার কারণ কী?”প্রযোজক তথা কোয়েল মল্লিকের স্বামী নিসপাল সিং রানেও জানিয়েছেন আলোচনার মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যা মেটাতে হবে।