বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে আশা ভঙ্গ হওয়ার পর থেকেই ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। নির্বাচনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ দুশো আসনের স্বপ্ন দেখলেও, সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে বাংলায়। আর তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ স্পষ্ট। বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও৷ বিশেষত মুকুল রায় দল ছাড়ার পরে আরও বেশি করে সামনে এসেছে এই বিতর্ক। কিছুদিন আগেই দলীয়কর্মীর টুইটকে অনুবাদ করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছিলেন তথাগত রায়ের মত বর্ষিয়ান নেতা। তার অনূদিত সেই টুইটে লেখা ছিল, “মমতা পিসি এই ভোদা বেড়ালটাকেও তৃণমূলে নিয়ে যাও। সারাদিন মুকুল রায়ের সঙ্গে ফিসফিস গুজগুজ করত।”
এর থেকেই স্পষ্ট ছিল যে দলীয় কর্মীদের একাংশের মধ্যে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে নিয়ে তৈরি হয়েছে মারাত্মক বিক্ষোভ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলার দায়িত্ব অনেকটাই ছিল এই কেন্দ্রীয় নেতার কাঁধে। আর তাই হারের পিছনেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে বলেই দাবি বিজেপির একাংশের। আজ ফের একবার তার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল কলকাতায়। বিজেপির সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেণ থেকে শুরু করে হেস্টিংসের নির্বাচনী কার্যালয় অবধি সব জায়গাতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল কৈলাশ বিরোধী পোস্টার। এমনকি এয়ারপোর্টও বাদ পড়েনি। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা এই পোস্টারে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে “টিএমসি সেটিং মাস্টার” বলেও উল্লেখ করেছেন। যার জেরে ফের একবার সামনে এলো কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের প্রতি বিজেপি কর্মীদের স্পষ্ট ক্ষোভ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রায়সাহেবের সঙ্গে ভীষণ ঘনিষ্ঠ ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। নির্বাচনের ঘুটি সাজানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল তারও। তাই কর্মীদের আশাভঙ্গের পর স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের সম্মুখীন হতে হলো কৈলাশকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, একাধিক তৃণমূল নেতাকে ভোটের আগে সাদরে দলে নেওয়াও যথেষ্ট ভুল রণনীতি ছিল। যার প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে। কিছুদিন আগেও তথাগত রায় এই রণ নীতির সমালোচনা করতে গিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের। আরও একবার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে প্রকাশ পেল সেই ক্ষোভের ছবিটাই। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য এখনও এই নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।