বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরে আবারও চলে এল উৎসবের মরশুম। আর কিছুদিন পরই আসতে চলেছে পুরীর (puri) রথযাত্রার (rath yatra) শুভক্ষণ। তবে করোনা আবহে গতবছর অনাড়ম্বরপূর্ণ ভাবে মাহেশের রথযাত্রা আয়োজিত হলেও, চলতি বছর রথযাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রথযাত্রা আসার আগে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জেনে রাখা ভালো, যা এখনও রহস্যে ঘেরা রয়েছে।
পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের মাথায় সর্বদাই একটি পতাকা উড়তে দেখা যায়। তবে কথিত আছে, সবকিছু হাওয়ার সঙ্গে উড়তে দেখা গেলেও, পুরীর মন্দিরের ধ্বজা বা পতাকা হাওয়ার বিপরীতে পতপত করে উড়ে চলেছে। ধারণা করা হয়, পুরীর মন্দিরের মাথায় এমন কিছু কার্যকরী শক্তি রয়েছে, যার প্রভাবেই পতাকা হাওয়ার বিপরীতে উড়তে থাকে।
পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পাশেই রয়েছে বিশাল সমুদ্র, যার তর্জন গর্জনে মানুষের মন তোলপাড় করে তোলে। কিন্তু সবথেকে আশ্চর্যকর বিষয় হল- মন্দিরের সিংহদ্বার অর্থাৎ প্রধান দরজা পেরোলেই সেই সমুদ্রের গর্জনের হালকা আওয়াজও কানে আসে না। মন্দিরের দরজা দিয়ে প্রবেশের আগে সমুদ্রের ঢেউয়ের আওয়াজ পাওয়া গেলেও, মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করতেই কোন আওয়াজ আর শোনা যায় না। অবে এখনও এই ঘটনাটা একটা রহস্যের মতই রয়ে গেছে।
পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের মাথায় থাকা পতাকাটি যেমন হাওয়ার বিপরীতে উড়তে দেখা যায়, তেমনই এই পতাকারও একটি গল্প রয়েছে। কথিত আছে, গত ১৮০০ বছর ধরে এই মন্দিরের পতাকা রোজই বদল করা হয়। মন্দিরের কোন এক সেবক প্রতিদিনই কোনরকম সাহায্য ছাড়াই প্রায় ৪৫ তলা সমান মন্দিরের চূড়ায় উঠে পতাকা বদল করে আসেন। বলা হয়, এই পতাকা যদি একদিনও বদল না করা হয়, তাহলে আগামী ১৮ বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে মন্দিরের দরজা।