বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন ভবানীপুরে সিপিএমের তরুণ মুখ মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে (Minakshi Mukherjee) প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বামেরা, অন্যদিকে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে নারাজ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তবে এবিষয়ে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডকে কিছু না জানালেও, নিজের মনে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
পূর্বেই ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে অরাজি ছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তবে শনিবার তিনি জানান, ‘আমি এখনও এআইসিসি নেতৃত্বকে কিছু জানাইনি। ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে, এটা তবে আমার ব্যক্তিগত মত। একজন তো মুখ্যমন্ত্রী আসনে বসেই রয়েছেন, কংগ্রেস যদি প্রার্থী নাও দেয়, লড়াই কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে জারি থাকবে’।
তবে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে একমত হতে পারলেন না সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যে যেখানে লড়াই করেছিলেন, এবার উপনির্বাচনে সেখানেই লড়াইয়ের মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে’।
বাংলার ক্ষমতায় আবারও ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসলেও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। হিসেব মত, তাঁকে যেকোন একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে নিজের জয় নিয়ে আসতে হবে। তবেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে নিজের অধিকার ধরে রাখতে সক্ষম হবেন। অর্থাৎ, নন্দীগ্রামে হারের কারণে তাঁকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে যেকোন একটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়ে, জয়ী হয়ে দেখাতে হবে তাঁকে। সেইমতই ঠিক হয় নিজের ‘গড়’ ভবানীপুরেই দাঁড়াবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেইমত প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যেই ভবানিপুরের জয়ী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খড়দহ কেন্দ্রের প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার জায়গায় লড়বেন তিনি।