বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হারতেই একের পর এক বিজেপির নেতা-নেত্রীরা বেসুরো গাওয়া শুরু করে দেন। একে একে সোনালী, সরলা আর দীপেন্দুরা বিজেপিও ছেড়ে দেন। তবে তৃণমূল এখনও তাঁদের ফিরিয়ে নেয়নি। ছোটখাটো নেতা-নেত্রীদের বেসুরো হওয়ার মাঝেই আচমকাই রাঘব বোয়াল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে দেন। ওই রাঘব বোয়াল হলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)। কৃষ্ণনগর উত্তরের এই বিধায়ক দল ছাড়ার পর রাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে শুরু করে।
মুকুল রায় দল ছাড়তেই বিজেপির নেতাদের মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। তাছাড়াও মুকুল ঘনিষ্ঠ কিছু বিজেপি বিধায়ক বেসুরো গাইতেও শুরু করে দেয়। মুকুল রায় বিজেপি ছাড়তেই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহসভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন মুকুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তপন সিনহা। তিনি সেদিন ইস্তফা দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে, তিনি খুব শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
আর সেই সম্ভাবন সত্যি করে তৃণমূলে যোগ দিলেন রায়সাহেব ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিজেপি নেতা তপন সিনহা। শনিবার গোবরডাঙা টাউনহলে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তবে, শুধু তপন সিনহাই না মুকুলবাবুর তালিকায় যে এরকম অনেক বিজেপি নেতাই আছেন, সেটা আগেভাগেই জানিয়েছিল তৃণমূল। এমনকি বিজেপি বহু বিধায়ক ও সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছুক বলে জানানো হয়েছিল শাসক দলের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে যেমন দিকে দিকে তৃণমূলে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। তেমনই নির্বাচনের পর বিজেপিতে দিকে দিকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যদিও, বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তাঁদের আর কোনও বিধায়ক তৃণমূলে নাম লেখাবে না। এমনকি বিজেপি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ কেড়ে নিতে তৎপর হয়েছে।