বাংলাহান্ট ডেস্ক: আজ বিশ্ব যোগ দিবস (international yoga day)। সমগ্র ভারতবাসীর সঙ্গে বলি তারকারাও অংশ নিয়েছেন এই বিশেষ দিনটি উদযাপনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগ করার ছবি, ভিডিও শেয়ার করে নিচ্ছেন তারা অনুরাগীদের সঙ্গে। যোগাসনপ্রেমীদের তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতও (kangana ranawat)। বলিউডে ‘ফিটনেসপ্রেমী’ নামেই পরিচিত কঙ্গনা। বিশেষত যোগাসন করতেও বহুবার পরামর্শ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এবার বিশ্ব যোগ দিবস উপলক্ষে নিজের পরিবারের সদস্যদের যোগাসন শুরু করার কাহিনি অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর বাবা মা, দাদা, বৌদি থেকে শুরু করে ছোট্ট বোনপো পৃথ্বীও নিয়মিত যোগাসন করে। এই পৃথ্বী হল কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলির (rangoli chandel) পুত্র। দিদির যোগাসন শুরু করার এক বিস্ময়কর কাহিনি শেয়ার করেছেন কঙ্গনা।
অনেকেই জানেন, যুবতী অবস্থায় একবার অ্যাসিড অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন রঙ্গোলি চান্দেল। কলেজে পড়াকালীন রাস্তায় এক ‘রোডসাইড রোমিও’ অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে রঙ্গোলির মুখে। তাঁর মুখের একটি পাশ থার্ড ডিগ্রি বার্ন হয়ে গিয়েছিল। একটি কান এখনো বিকৃত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। এক চোখের দৃষ্টিও চলে গিয়েছিল।
কঙ্গনা জানান সেই ভয়াবহ ঘটনার পর একেবারে নীরব হয়ে গিয়েছিলেন রঙ্গোলি। কোনো ব্যাপারেই কোনো প্রতিক্রিয়া দিতেন না। কঙ্গনা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কি করবেন তিনি। চিকিৎসকরা রঙ্গোলিকে থেরাপি ও ওষুধ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। ১৯ বছরের কঙ্গনা সেই সময় সূর্য নারায়ণের কাছে যোগ শিখতেন।
অভিনেত্রী লেখেন, তাঁর কোনো ধারণা ছিল না যে একজন মানসিক ট্রমা ও রেটিনা ট্রান্সপ্ল্যান্টের পর যোগ এভাবে সুস্থ করে তুলতে পারে রঙ্গোলিকে। কঙ্গনার সঙ্গে যোগাসনের ক্লাসে গিয়ে শিখতে শুরু করেন রঙ্গোলি। দ্রুত তাঁর মধ্যে অদ্ভূত পরিবর্তন লক্ষ্য করতে শুরু করেন রঙ্গোলি। মানসিক ট্রমা তো তিনি কাটিয়ে ওঠেনই উপরন্তু এক চোখের হারানো দৃষ্টিও রঙ্গোলি ফিরে পান বলে দাবি করেছেন কঙ্গনা।
https://www.instagram.com/p/CQWQB7Rh1k0/?utm_medium=copy_link
শুধু দিদি রঙ্গোলিই নয়। কঙ্গনার দাবি, এই যোগাসনের মাধ্যমেই তাঁর মা, বাবা ও দাদা সুস্থ হয়েছেন কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়াই। কঙ্গনা জানান, উচ্চ কোরেস্টেরল, থাইরয়েড ইত্যাদি সমস্যা ধরা পড়ায় তাঁর মায়ের ওপেন হার্ট সার্জারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কঙ্গনার কথা মতো যোগ শুরু করায় এখন তিনি অস্ত্রোপচার ছাড়াই সম্পূর্ণ সুস্থ। গোড়ালির হাড় ও লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও শুধুমাত্র যোগ করেই আবারো ফুটবল খেলতে পারছেন তাঁর দাদা, এমনটাও দাবি করেছেন কঙ্গনা।