বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের জেরে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সারা দেশের অর্থনীতি। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও। রোজই কোনো-না-কোনোভাবে কাজ হারাচ্ছেন লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ। সরকারি সঠিক কোনো হিসেব না থাকলেও, দেখা গিয়েছে প্রায় কয়েক কোটি পরিবার ফের একবার নেমে গিয়েছে দারিদ্র্যসীমার নিচে। এখন তাদের ভরসা শুধুমাত্র সরকারি রেশন দোকান গুলি। এমতাবস্থায় ফের একবার মগরায় কোপ পড়ল প্রায় ২৯০০ কর্মীর ভবিষ্যতের ওপর। মগরা কুন্তীঘাট এলাকার রেয়ান কারখানাটি ছিল অনেক কর্মীর রুজি-রুটির ভরসা। কিন্তু সোমবার হঠাৎই সকালবেলা কাজ করতে এসে শ্রমিকরা দেখেন, ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে কাজ বন্ধের নোটিশ।
শ্রমিকদের দাবি, শেষ কয়েক মাস ধরেই চলছিল অসন্তোষ। নানাভাবে শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছিল বিক্ষোভও। কারণ কয়েক মাস ধরেই ঠিকমতো বেতন পাচ্ছিলেন না তারা। কিন্তু তাও কোনওমতে এগিয়ে চলেছিল কারখানা। ব্যাবসায়িক হাল ভালো না হলেও ফের একবার মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছিল মগরার এই বেসরকারি কারখানাটি। কিন্তু হঠাৎই সোমবার আগে থেকে কোন বার্তা না দিয়ে কাজ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই পেটে টান পড়ল প্রায় ২৯০০ শ্রমিকের।
কর্তৃপক্ষ যদিও জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই ব্যবসার হাল ছিল খুবই খারাপ। লকডাউনের কারণে মিলছিল না প্রয়োজনীয় কাঁচামাল। আর সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত আপাতত কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু শ্রমিকদের দাবি, আগে থেকে কোন নোটিশ জারি করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। যার ফলে তাদের ভবিষ্যৎ এখন বিশবাঁও জলে। একদিকে পেটের টান অন্যদিকে কাজ বন্ধ। ভবিষ্যৎ কিভাবে চলবে তা নিয়েই এখন আশঙ্কিত শ্রমিক পরিবারগুলি। শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী দিনে এ বিষয়ে সরকারের দ্বারস্থ হবেন তারা।
কোভিডের কারণে এভাবেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু ব্যবসা। যার জেরে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতি, তেমনি অন্যদিকে, প্রত্যেক কর্মহীনের পাশে দাঁড়ানোও হয়ে উঠছে রীতিমতো বড় চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি এভাবেই চলতে থাকলে আগামী দিনে আরও বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।