বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরিষদীয় রীতিনীতি অনুযায়ী পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (public accounts committee) বা পিএসির চেয়ারম্যান পদ সাধারণত দেওয়া হয় বিরোধী দলের কোন নেতাকে। সেই সূত্র ধরেই নাম প্রস্তাব করা হয় শাসক দলের পক্ষ থেকে। যদিও এই ঘটনার একাধিক ব্যতিক্রম রয়েছে। তবে এবার যে ১৪ জনের নাম প্রস্তাব করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) নাম। এই বিষয়ে মনোনয়নও জমা দিয়েছেন তিনি। শাসকদলের যুক্তি ছিল, আদতে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেও খাতায়-কলমে এখনও তিনি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। আর সেই কারণেই তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
তারপরেই এই নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিমায় তিনি বলেন, বিধায়ক পদ থাকলে তো চেয়ারম্যান পদ, আমরা এর বিরুদ্ধে কোর্টে যাব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য বিধানসভার স্পিকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। যদিও সে বিষয়ে কোনো উত্তর এখনো আসেনি।
তবে এবার পিএসসি চেয়ারম্যান পদ বিষয়ে শুভেন্দুর একেবারে উল্টো সুরে গাইলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বর্ষিয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “পিএসি চেয়ারম্যান নিয়ে বলার কিছু নেই। এটা সরকারের রীতি। আশা করি সরকার রাখবে। যদি তাঁরা না রাখেন তাহলে আইনত কিছু করার নেই।” দুই বর্ষীয়ান নেতার গলায় কেন সম্পূর্ণ বিপরীত সুর তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
যদিও এদিনও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। পরিষ্কার জানিয়েছেন, বাঙালি বিচারপতিরা ভয় পেয়ে সরে যাচ্ছে সরকারের হিংসাত্মক আচরণের কারণে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই বিচারপতি কৌশিক চন্দের (Kaushik Chanda) পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর সেই প্রসঙ্গেই এদিন এই মন্তব্য করেন দিলীপ। তবে এখনো নন্দীগ্রামের মামলাটি রয়েছে কৌশিক চন্দের এজলাসেই।