ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে জড়িয়েছে পুরসভার নাম, তবুও বিভাগীয় তদন্তে নারাজ ফিরহাদ হাকিম

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। খোদ কলকাতায় ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির কারণে ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দেবাঞ্জন দেব (Devanand Dev) সহ তার তিন সহকর্মী। এর আগে পুলিশ সন্দেহ করেছিল যে এত বড় চক্র কখনো একা চালানো সম্ভব নয় দেবাঞ্জনের পক্ষে। এই বিষয়ে নিশ্চয়ই হাত রয়েছে একটি গোটা চক্রের।

সেই সূত্র ধরে এমনকি জড়িয়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার নামও (Kolkata Corporation)। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে জয়েন্ট মিউনিসিপাল কমিশনারের আই কার্ড ব্যবহার করেই এত বড় চক্র ফেঁদেছিল দেবাঞ্জন।এই চক্রের জেরে এখন রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে মানুষ। ইতিমধ্যেই চার সদস্যের একটি ক্যাম্পও গঠন করা হয়েছে টিকা গ্রহীতাদের শরীরে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য।

   

কিন্তু কলকাতা পুরসভার নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিতে রাজি নন বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী তথা পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি পরিষ্কার জানান, “দেবাঞ্জন কর্পোরেশনের কেউ নয়। বিভাগীয় দুর্নীতিও হয়নি। তাহলে পুরসভা কেন বিভাগীয় তদন্ত করবে?”

কিন্তু কলকাতা কর্পোরেশনকেই কার্যত ঘাঁটি বানিয়ে এত বড় চক্র চালাচ্ছিলেন দেবাঞ্জন। তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন পুরসভার মদত ছাড়া পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে এত বড় চক্র চালানো কি করে সম্ভব? তাছাড়া আই কার্ডে পাওয়া গিয়েছে পুর-কমিশনার বিনোদ কুমারের স্বাক্ষরও।

যদিও সেই স্বাক্ষর নকল কিনা এখনও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর তাই পুর-প্রশাসক তথা পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। পুরসভার কেউ জড়িত থাকলে তদন্তে তা নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে।”

Debanjan Deb

কিন্তু একথা অস্বীকার করা যায় না যে, দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে কলকাতা পুরসভার লেটারহেডও। আর সেই কারণেই প্রত্যেক মুহূর্তে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এতে আসলে প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব নেই তো? নাকি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে কলকাতা পুরসভা? উত্তর দেবে সময়ই।

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর