বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তাইওয়ানের (taiwan) সঙ্গে সেনা সম্পর্ক বৃদ্ধি করায়, আমেরিকাকে (america) হুঁশিয়ারি দিল চীন (china)। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র রেন গুয়াকিয়াং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘এই দ্বীপ-দেশকে সংযুক্ত রাখার জন্য চীন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই কাজে কোন বহিরাগত হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না চীন’। অর্থাৎ, হুমকি দিয়ে তাইওয়ানের পাশ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে আমেরিকাকে।
আমেরিকাকে তাইওয়ানের সঙ্গে সমস্তরকম সামরিক শক্তি ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেন গুয়াকিয়াং আরও বলেছেন, ‘চীনকে পুনরায় এক করা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, আর এই বিষয়কে কেউ আটকাতে পারবে না। তাইওয়ানের মানুষ শান্তি এবং স্থিতিশীলতা পছন্দ করে। তাইওয়ানের আলাদা করে কোন স্বাধীনতার প্রয়োজন নেই। এই কাজের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অর্থ যুদ্ধ ঘোষণা করা। চীনের ‘এক-চীন’ নীতি অনুসরণ করতে হবে আমেরিকাকে’।
তাইওয়ানের সুরক্ষা মন্ত্রালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহের শুরুতেই চীন ২৮ টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল তাইওয়ানে। গত বছর থেকেই বেইজিংয়ের একাধিক যুদ্ধবিমান বিভিন্ন সময়ে, তাইওয়ানের আকাশে দেখা গিয়েছে। জি-7 দেশের বৈঠকে যখন চীনকে আক্রমণ করা হয়েছিল, তখন তাইওয়ানের আকাশে সর্বাধিক বেশি পরিমাণে লড়াকু যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গিয়েছিল। চীন যেন এটাকে একটা রুটিন অনুশীলন ধরে নিয়েছে।
কিছুদিন আগেই জি-7 দেশের বৈঠকে তাইওয়ান স্ট্রেইটস ইস্যুটির শান্তিপূর্ণ মীমাংসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু চীন এরপর আরও বেশি পরিমাণে শক্তি প্রদর্শনে লিপ্ত হয়। এবিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানান, ‘ইচ্ছাকৃতভাবেই জি-7 দেশের বৈঠকে চীনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো হচ্ছে’।