কলকাতার ৩-৪ জন ৩০টা মন্ত্রক দখল করেছে, গ্রামের লোকেরা কি বানের জলে ভেসে এসেছে! প্রশ্ন শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম, জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গের মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি এও বলেন যে, ‘দক্ষিণ কলকাতার ৩-৪ জন মানুষ মিলে তিরিশটা মন্ত্রক দখল করে বসেছে। এঁরা উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল আর ঝাড়গ্রামের মানুষকে উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর চাকরি থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।” উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকেই তিনি আবারও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন।

ঝাড়গ্রামে বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বহু নেতা-কর্মী গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে যোগ দিচ্ছেন। একটি পঞ্চায়েতও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। আর সেই ভাঙন রুখতে মরিয়ে পদ্মফুল শিবির। ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘যারা রাজ্যভাগের কথা বলছেন, সেটা তাঁদের নিজস্ব ব্যক্তিগত মতামত। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বিজেপি রাজ্য ভাগ চায়না। আমি ওনার সঙ্গে সহতম। আমিও রাজ্য ভাগের বিপক্ষে।”

ঝাড়গ্রাম, জঙ্গলমহলের প্রতি বঞ্চনার কথা তুলে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘দক্ষিণ কলকাতার তিন চারজন মিলে তিরিশ চল্লিশটা মন্ত্রক দখল করে রেখে জঙ্গলমহল-উত্তরবঙ্গকে নজরান্দাজ করছে। বরাবরই এঁরা বঞ্চানার শিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং চাকরি এদের কাছে চাঁদ ধরার মতো। জঙ্গলমহলের আদিবাসী ভাইয়েরা চাকরি পায়না। দক্ষিণ কলকাতার কটা লোক মিলে রাজ্য চালাবে সেটা মেনে নেওয়া যায়না। আমরা গ্রামের লোকেরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি?”

আরেকদিকে, একটি বিস্ফোরক টুইট করে রাজ্য সরকারকে বেশ অস্বস্তিতে ফেললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার টুইটারে শুভেন্দুবাবু লেখেন, “দুহাজার কোটির প্যানডেমিক পারচেজ স্ক্যাম কমিটির রিপোর্ট সামনে আনতে হবে রাজ্য সরকারকে। কেন এই রিপোর্ট লুকোনো হচ্ছে। বর্তমান রাজ্য সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই কমিটির প্রধান। যত দ্রুত সম্ভব এই রিপোর্ট সামনে আনা হোক।” শুধু তাই নয় এই টুইটে মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) মেনশনও করেন তিনি। ওনার এই টুইটের পর ভ্যাকসিন কাণ্ডের পাশাপাশি প্যানডেমিক পারচেজ নিয়েও প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর