টিকা নিতে গেলে রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে দিতে হবে টাকা! আজব ফরমানে বেকায়দায় মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টিকা যখন বাজারে ছাড়া হয়নি, তখন কেন্দ্রের তরফ থেকে বিনামূল্যে টিকা ঘোষণা করার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি বঙ্গবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেবেন। এরপর কেন্দ্র সরকার সবার জন্য বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ঘোষণা করলে, তিনি নিজের মন্তব্যে কায়েম থাকেন। তখনই বিজেপির তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলা হয় যে, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের দেওয়া বিনামূল্যে টিকা নিজের ‘টিকাশ্রী” প্রকল্প বলে চালিয়ে দেবেন।

এরপর একুশের নির্বাচনের সময়েও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেবেন তিনি। যদিও তখন কেন্দ্র সরকার টিকা কেনার জন্য রাজ্যগুলোকে অনুমতি দিয়েছিল, এরফলে রাজ্য সরকার টিকা কিনে সাধারণ মানুষকে দিতেই পারত। কিন্তু এর কিছুদিন পর কেন্দ্র আবারও একটি ঘোষণা করে বলে যে, এখন থেকে আর কাউকে টিকা কিনতে হবে না। সব টিকাই বিনামূল্যে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের হাতেও বিনামূল্যে টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে।

এই ঘোষণার পরেও বাংলা থেকে টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে ৩১৫ টাকা জমা না দিলে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। শিলিগুড়িতে বণিক সভা, পর্যটন ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র শিল্প সহ বিভিন্ন মহল থেকে এই অভিযোগ উঠে আসছে। তাঁরা জানাচ্ছে করোনার টিকা নিতে গেলে রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে ৩১৫ টাকা করে জমা দিতে হচ্ছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তরবঙ্গ ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুরজিৎ রায়। তিনি জানান, স্বেচ্ছায় সকলে রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে টাকা দিচ্ছেন।

অন্যদিকে, ইস্টার্ন হিমালয় ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সমাদক সন্দীপন ঘোষের পাল্টা দাবি স্বেচ্ছায় টাকা দেওয়ার কথা বললেও বলে দেওয়া হচ্ছে টাকার পরিমাণ। টাকা না দিলে টিকাও মিলছে না। এই ঘটনা সামনে আসতেই বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিনামূল্যে টিকার জন্য এভাবে আমাদের টাকা দিতে কেন বাধ্য করা হবে?

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর