বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০০ দিনের কাজ সাধারণত গরিব মানুষদের জন্য। যারা ঠিকমতো রোজগার পায় না, কেন্দ্র সরকার তাঁদের এই ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে রোজগারের গ্যারান্টি দেয়। তবে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জন্য কেন্দ্রের এই প্রকল্পে বারবার রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বে অভিযোগ উঠেছে এই বাংলা থেকে। আর এবারও ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল বীরভূম জেলার সিউড়িতে। সেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজ করা শ্রমিকদের বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকরা বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তৃণমূল প্রধান নারায়ণ বাগদি তাঁদের বাঁধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার সকালে বীরভূমের সিউড়ির কেন্দুয়া গ্রামে ১০০ দিনের কাজ অনুযায়ী নর্দমা পরিস্কার করছিল শ্রমিকরা। সেখানে একদল মানুষ এসে শ্রমিকদের কাজ করতে বাঁধা দেয়। শ্রমিকরা একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল বলে, তাঁদের বাঁধা দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় বচসা। বিবাদ আরও বেড়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নারায়ণ বাগদি ময়দানে নেমে পড়েন। আর এরপরেই শ্রমিকরা ক্ষেপে গিয়ে নারায়ণবাবুকে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকদের লাঠির ঘায়ে নারায়ণবাবুর মাথাও ফেটে যায়। এরপর উত্তম হাজরা নামের এক শ্রমিককে ব্যাপক মারধর করে নারায়ণবাবুর অনুগামীরা। দেখতে দেখতেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পঞ্চায়েত প্রধানের মাথা ফাটানোয় অভিযুক্ত শ্রমিকদের বাড়িতে ভাঙচুরও চালায় তৃণমূলের কর্মীরা। ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনও থমথমে গোটা এলাকা। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়িয়ে পড়ে, সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।