বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। আপাতত উত্তর প্রদেশ থেকে বঙ্গোপসাগর অবধি বিস্তৃত মৌসুমী বায়ুর অক্ষরেখা। যার জেরে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে ছত্রিশগড়, ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডে। আর তার প্রভাবেই আপাতত বৃষ্টি চলছে বঙ্গ জুড়ে। যদিও আবহাওয়াবিদদের মত অনুযায়ী আজ কিছুটা রেহাই পাবে দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু উত্তরবঙ্গ জুড়ে রয়েছে দাপুটে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। একদিকে যেমন ছত্রিশগড়, ঝারখন্ডে রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস তেমনি দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও।
আবহাওয়ার খবরঃ
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা | 34° C |
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা | 28° C |
আদ্রতা | 86% |
বাতাস | 11 km/h |
মেঘে ঢাকা | 35% |
আজকের আবহাওয়াঃ
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার কলকাতার আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। সময় সময় হালকা বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ভারী দুর্যোগের এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় কিছুটা বাড়তে পারে অসস্তিকর গরম। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ মুক্তি পেলেও হিমালয় নিকটবর্তী এলাকাজুড়ে রয়েছে ধ্বসের সম্ভাবনা। তাই উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলা জুড়ে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে সতর্কবার্তা।
উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়াঃ
আবহাওয়াবিদদের মতে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে মূলত হালকা বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। তবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুবই দুর্যোগপূর্ণ। বিশেষত, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে আজ জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা। আবহাওয়াবিদদের মতে, পাহাড়ি ধ্বসের সম্ভাবনাও যথেষ্ট। নদীর জল স্তর বৃদ্ধির ফলে দেখা দিতে পারে প্লাবনও। আজ প্রায় ৭ থেকে ১১সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে এই জেলাগুলিতে। এছাড়া মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস।
আগামীকালের আবহাওয়াঃ
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজকের তুলনায় মঙ্গলবার আরও বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। যার জন্য ইতিমধ্যেই কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে। তবে দক্ষিণবঙ্গে কালও সেভাবে দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামীকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রির আশেপাশে। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ। যার জেরে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাত চলতে পারে বিভিন্ন এলাকায়।