বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইয়াস পরবর্তী বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ খতিয়ে দেখতে ক্যানিংয়ের ইটখোলা লস্করপাড়ায় গিয়ে রোষের মুখে পড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান তথা অঞ্চল সভাপতি। সরকারি কাজের তদারকি করতে এদিন লস্করপাড়ায় যান তৃণমূল নেতা। আর ওনার গাড়ি এলাকাতেই প্রবেশ করতে রুখে দাঁড়ায় কয়েকজন এলাকাবাসী। এরপর তৃণমূল নেতা গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লাঠি, বাঁশপেটে করে তাঁরা।
উপপ্রধানের দেহরক্ষীরা ওনাকে বাঁচাতে রিভলভার উঁচিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে পালায় দূর্বৃত্তরা। এই ঘটনার পর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, সুন্দরবন অঞ্চলে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ বসানোর কাজের তদারকি করতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময় ওনার সঙ্গে এই কাণ্ড ঘটে যায়। ঘটনায় কারা যুক্ত, কোনও ব্যক্তিগত কারণে না রাজনৈতিক কারণে তৃণমূলের উপপ্রধানের উপর চড়াও হয়েছিল দূর্বৃত্তরা সেটার তদন্ত করছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
আরেকদিকে, সোমবার সকালে বীরভূমের সিউড়ির কেন্দুয়া গ্রামে ১০০ দিনের কাজ অনুযায়ী নর্দমা পরিস্কার করছিল শ্রমিকরা। সেখানে একদল মানুষ এসে শ্রমিকদের কাজ করতে বাঁধা দেয়। শ্রমিকরা একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল বলে, তাঁদের বাঁধা দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় বচসা। বিবাদ আরও বেড়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নারায়ণ বাগদি ময়দানে নেমে পড়েন। আর এরপরেই শ্রমিকরা ক্ষেপে গিয়ে নারায়ণবাবুকে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকদের লাঠির ঘায়ে নারায়ণবাবুর মাথাও ফেটে যায়। এরপর উত্তম হাজরা নামের এক শ্রমিককে ব্যাপক মারধর করে নারায়ণবাবুর অনুগামীরা। দেখতে দেখতেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পঞ্চায়েত প্রধানের মাথা ফাটানোয় অভিযুক্ত শ্রমিকদের বাড়িতে ভাঙচুরও চালায় তৃণমূলের কর্মীরা। ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনও থমথমে গোটা এলাকা। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়িয়ে পড়ে, সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।