বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেতা আমির খান (aamir khan) ও তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও (kiran rao) বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। হেভিওয়েট এই কাপল ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট ক্ষমতা ধরেন। আমির যেমন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ নামে পরিচিত তেমনি ভাল পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে কিরণেরও।
সকলেই প্রায় জানেন, কিরণ রাও আমিরের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০০৫ সালে কিরণকে বিয়ে করেন আমির। যদিও তার আগে দীর্ঘদিন লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন দুজন। দেখতে দেখতে বিবাহিত জীবনের ১৬ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন আমির কিরণ। তবে অনেকেই যেটা জানেন না তা হল কিরণ রাও কিন্তু এক সময় আমিরের প্রথম স্ত্রী রীনার সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন। আমির ও কিরণের পরিচয়টা হয় বেশ অদ্ভূত ভাবে।
রাজপরিবারে বংশোদ্ভূত কিরণ রাও। তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন তখনকার হায়দ্রাবাদের ওয়ানাপার্থির রাজা। বেঙ্গালুরুতে জন্মালেও ছোটবেলাটা কলকাতায় কাটিয়েছেন কিরণ। পড়াশোনা শেষ করে মুম্বই চলে আসেন তিনি। ইচ্ছা ছিল পরিচালক হওয়ার। কিন্তু নবাগতা কিরণকে তখন কেউই কাজে নিতে চাইতেন না। সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন তখন তিনি।
এরপর কিরণ জানতে পারেন পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর একটি ছবির জন্য সহ পরিচালকের খোঁজ করছেন। ছবিটি ছিল ‘লগান’। কাজ পেয়ে গিয়েছিলেন কিরণ। আর সেখানেই তাঁর পরিচয় আমিরের সঙ্গে। তবে অভিনেতা তখন রীনার সঙ্গে বিবাহিত। কিরণের কাজ আশুতোষ, আমির, রীনা তিনজনেরই খুব ভাল লেগেছিল। রীনাও যুক্ত ছিলেন ওই ছবির সঙ্গে। তবে তখন কিরণের সঙ্গে কথা বললেও শুধু কাজের বিষয়েই কথা আমিরের।
কিরণকে এত ভাল লেগেছিল যে কাজে রেখে দেন পরিচালক আশুতোষ। সেই সঙ্গে রীনারও কাজে সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। পরিচালকের সঙ্গে ফের একটি ছবিতে কাজ করতে আসেন আমির। কিন্তু তখন গল্প অন্য। রীনার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে গিয়েছে অভিনেতার।
কিন্তু এত কিছু জানতেন না কিরণ। না জেনেই আমিরের কাছাকাছি চলে আসেন তিনি। কাজের সূত্রে কথা শুরু হয়ে তা পৌঁছে যায় ব্যক্তিগত স্তরে। আমির নিয়মিত ফোন করতে থাকেন কিরণকে। শীঘ্রই লিভ ইন শুরু করেন আমির কিরণ। তার তিন বছর পর বিয়ে। ২০১১ তে সারোগেসির মাধ্যমে ছেলে আজাদের জন্ম দেন কিরণ রাও। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনেও প্রতিষ্ঠিত এখন তিনি।