বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবারও রাজধানী দিল্লীতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার রাতেই তিনি দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গত একমাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার দিল্লী মুখো হলেন শুভেন্দুবাবু। ওনার এই সফর ঘিরে নানান জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলায় বিধানসভার অধিবেশন শুরুর ঠিক একদিন আগেই তিনি আচমকাই দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দিল্লী উড়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। সেবার প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিজেপির হেস্টিংস দফতরে কার্যকারিণীর প্রথম বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তৃণমূল থেকে আগত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া প্রায় সব নেতাকেই দেখা যায়। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রথমের দিকে মিটিংয়ে উপস্থিত না থাকলেও, শেষের দিকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নিয়ে এখন বিজেপির অন্দরে তুমুল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভবত ওনাকে এবার বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক পদ থেকে সরানোও হতে পারে।
আরেকদিকে, ওই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গুরত্বও বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের ন্যায় গুরুত্ব পাবেন শুভেন্দুবাবু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর প্রথমে ওনাকে বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত করে সম্মান দেওয়া হয়েছিল। এবার ওনাকে দিলীপ ঘোষের মতই গুরুত্ব দিয়ে সম্মান আরও বাড়ানো হল।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হেস্টিংসে বিজেপির কার্যকারিণীর বৈঠকে যেখানে দিলীপ ঘোষের নাম একবার নেওয়া হয়েছিল, সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম তিনবার নেওয়া হয়েছিল। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, শুভেন্দুবাবু রাজ্য বিজেপির সভাপতি না হলেও, তাঁকে অগাধ দায়িত্ব আর পূর্ণ সম্মান দিয়ে আগামী দিনের রণনীতি স্থির করা হচ্ছে। মূলত শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধে ভর দিয়েই এবার রাজ্যে দলের ঘাঁটি মজবুত করতে চাইছে বিজেপি। আর সেই কারণেই তাঁর যেমন সম্মান বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে বারবার দিল্লী ডেকে রণনীতিও স্থির করছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেই দিল্লী উড়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। রাত ৯টার সময় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে করে ওনার দিল্লী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে বিমান উড়তে কিছুটা দেরী করে। আর সেই বিমানে করেই তিনি দিল্লী যান।