বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার সংকটের মধ্যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কেন্দ্রকে নিশানা করতে কোনও অবসরই খোয়াতে চাননা। প্রতিদিনই টিকা, মহামারী, বেকারত্ব, অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তিনি কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে আসছেন। সরকারের ভ্যাকসিন নীতি নিয়েও তিনি লাগাতার কেন্দ্রকে আক্রমণ করছেন। শুক্রবার আবারও ওনাকে ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে দেখা যায়। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী একটি টুইট করে লেখেন, ‘জুলাই চলে এল … ভ্যাকসিন এল না।”
রাহুল গান্ধীর দাবি সরকারের উচিৎ শীঘ্রই বড় সংখ্যায় টিকাকরণ করার, এরফলে কম সময়ের মধ্যে বেশি মানুষের টিকাকরণ সম্ভব হবে। রাহুল গান্ধীর এই টুইটের পর সরকারের তরফ থেকেও বয়ান আশা শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধনের পর কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে ঘৃণ্য রাজনীতি না করার পরামর্শ দেন।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়েল রাহুল গান্ধীর টুইটের জবাব দিয়ে লেখেন, বেসরকারি হাসপাতালের চাহিদা বাদেই ভ্যাকসিনের ১২ কোটি ডোজ জুলাই মাসে উপলব্ধ হবে। রাজ্যগুলিকে ১৫ দিন আগেই এই বিষয়ে সূচনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীকে এটা বোঝা উচিৎ যে, করোনার লড়াইকে গম্ভীর ভাবে নিয়ে এই সময় ঘৃণ্য রাজনীতি বন্ধ রাখা উচিৎ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন একটি টুইট করে রাহুল গান্ধীকে পাল্টা আক্রমণ করেন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘সম্প্রতি আমি জুলাই মাসে উপলব্ধ হওয়ার ভ্যাকসিনের পরিসংখ্যান দিয়েছিলাম। রাহুল গান্ধীর সমস্যাটা কোথায়? উনি কেন পড়েন না?” ডঃ হর্ষবর্ধন আরও লেখেন, অহংকার আর অজ্ঞানতার কোনও ভ্যাকসিন নেই। কংগ্রেস নিজেদের নেতৃত্ব আর দলকে সামলানোর প্রতি নজর দিক।
উল্লেখ্য, সরকারের তরফ থেকে একটি বয়ানে বলা হয়েছিল, ‘খুব শীঘ্রই দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভ্যাকসিনেশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।” কিন্তু বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক তৃতীয়াংশই ভ্যাকসিন পেয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে কেন্দ্রর তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে মোট ১২ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হবে। দেশে এখনও পর্যন্ত ৩৫ কোটিরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। গোটা বিশ্বে ভারত ভ্যাকসিনেশনে প্রথম স্থান দখল করেছে। আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলিকে পিছিয়ে রেখে ভারতই এখন ভ্যাকসিনেশনে বিশ্বসেরা।