বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি হারতেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের। আর সেই দূরত্ব এমন বেড়ে গেল যে, নিজের ছেলেকে নিয়ে একেবারে তৃণমূল ভবনে গিয়ে পুরনো দলে যোগ দেন মুকুলবাবু। এরপর থেকেই চারিদিকে জল্পনা ছড়ায় যে, আর কোন কোন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছেন? অনেকের নাম উঠে আসলেও এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের কোনও বিধায়ককেই ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে পারেন নি রায়সাহেব। আর এরই মধ্যে বিজেপির এক বিধায়কের মন্তব্যে তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে।
বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। সোমবার একদিকে যখন বিজেপির নেতা-কর্মীরা কলকাতা পুরসভা অভিযান চালাচ্ছেন, তখন আরেকদিকে বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের ঘরে বসে শাসক দলের বিধায়কদের সঙ্গে আড্ডায় মজতে দেখা গেল বিজেপির এই বিধায়ককে। স্বভাবতই এই চিত্র দেখে সবার মনে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি এখন মুকুল রায়ের পর বিশ্বজিৎ দাস?
বিজেপির বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবুকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একজন বিধায়ক। আর বিধায়কদের কোনও দল হয়না।” তিনি বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যেখানে খুশি যেতে পারে আর যার সঙ্গে খুশি কথাও বলতে পারি।” ওনাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আজ তিনি পুরসভা অভিযানে যোগ দেন নি কেন? তখন বিধায়কসাহেব বলেন, আমি এরকম অভিযানের কথা জানতামই না।
স্বভাবতই ওনার এহেন আচরণ আর মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও, এটা প্রথম নয় যে ওনাকে নিয়ে এমন জল্পনা ছড়াল। এর আগেও ওনাকে নিয়ে বেশ কয়েকবার জল্পনা ছড়িয়েছিল। নির্বাচনের আগে তো ওনাকে বিধানসভায় একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ছুঁয়েও আশীর্বাদ নিতে দেখা গিয়েছিল।