বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফিল্মি পরিবারে জন্মেও ফিল্মি কেরিয়ার করে উঠতে পারেননি তনিশা মুখোপাধ্যায় (tanisha mukerji)। মাত্র কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেই বলিউড কেরিয়ারে ইতি টানতে হয় তাঁকে। মা, দিদি দুজনেই জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও কোনো লাভই হয়নি তনিশার। উলটে তাঁর কেরিয়ারের আরো ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তনিশা দাবি করেন তাঁকে সবসময় তাঁর দিদি কাজলের সঙ্গে তুলনা করা হত। তনিশা বলেন তাঁর কেরিয়ারের প্রথম দিকে সকলেই আশা করত তাঁকে কাজলের (kajol) মতো দেখতে হবে, তিনি অভিনয় করবেন কাজলের মতো এবং একটা সময় কাজলকেও ছাপিয়ে যাবেন। কিন্তু তনিশার কথায়, কাজল তাঁর মতো একেবারেই নয়। কাজলের চোখের রঙ সবুজ, তনিশার থেকে অনেকটাই লম্বা। তবে তনিশাও মনে করেন কাজলকেও নিশ্চয়ই প্রথম দিকে তাঁর মা তনুজার সঙ্গে তুলনা করা হত।
তনিশা এও বলেন তাঁদের মা তনুজার অসাধারন অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি খুবই ভল একজন মানুষ যার আত্মবিশ্বাস খুব বেশি। তিনি সবসময়ই মেয়েদের বলতেন নিজের মতো থাকতে। সেভাবেই তারা সাফল্য পাবে। তনিশার কথায়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন তুলনা হয়েই থাকে। ছোট বেলায় এসব শুনলে তাঁর মন খারাপ হত। তাঁর মতে, কারোর সঙ্গেই কারোর তুলনা করা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে তনিশা জানান, ৩৩ বছর বয়সেই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে তখন চিকিৎসক বলেছিলেন এখনি এমন কাজ করার দরকার নেই। কারণ তখন তিনি প্রাকৃতিক উপায়েই সন্তান নিতে পারতেন। তাই চিকিৎসক তনিশাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যখন তাঁর মনে হবে সন্তান ধারনের এটাই উপযুক্ত সময় কিন্তু তখন প্রাকৃতিক উপায়ে আর তা করা যাবে না তখনি তিনি ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে পারেন।
সেই মতো ৩৯ বছর বয়সে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছিলেন তনিশা। এখন তাঁর বয়স ৪৩। কিন্তু এখন আর সন্তান ধারন করতে চান না তনিশা। বিয়ে তো দূর প্রেম করারও পক্ষপাতী নন তিনি। তাঁর কথায়, মহিলারা শুধু সন্তান ধারনের জন্য নন। আর মা হতে মহিলার যে পুরুষকে লাগবেই তারও কোনো মানে নেই। সন্তান দত্তক নিয়েও মা হওয়া যায়। বরং এটাকেই মা হওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায় বলেও মনে করেন তনিশা।