বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘না উমরকা সীমা হো না জন্ম কা হো বন্ধন’ জগজিৎ সিংয়ের গজলের বিখ্যাত এই লাইনটি কে না জানে। প্রেম এমন, তা বয়স দেখেনা, জন্মের বন্ধন দেখেনা, দেখে কেবল মন। আর তাই যার সঙ্গে যার মনের মিলন হয়, তার সান্নিধ্য পেতে উদগ্রীব হয়ে পড়ে সে। এবার এমনই এক ঘটনা সামনে এলো উত্তরপ্রদেশের ভিন্ড থেকে। এখানে ৪৫ বছরের এক মহিলা প্রেমে পড়লেন ২১ বছরের যুবকের। আর শুধু তাই নয় তাকে বিয়ে করতে তিনি এতটাই উদগ্রীব যে নিজের ঘর থেকে বের করে দিলেন নিজের মেয়েদেরকেই।
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা গড়িয়েছে থানা পুলিশ অবধি। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার আগেও তিনবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তিন স্বামীই মারা যায়। বর্তমানে মহিলার পাঁচটি কন্যাও রয়েছে। এমনকি বড় মেয়েটির বিয়েও হয়ে গিয়েছে। বাকি মেয়েগুলির বয়স যথাক্রমে ১৯, ১৬, ১৪ এবং ১২। কিন্তু তারপরেও ২১ বয়সী মিঠুন নামের এক যুবকের প্রেমে পড়েন ওই মহিলা। এমনকি একসাথে থাকতেও শুরু করেন তারা।
মহিলার দ্বিতীয় কন্যা এই ঘটনা মানতে পারেনি, কিন্তু সে থানায় অভিযোগ জানানোর ভয় দেখালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। জানা গেছে প্রথম ১৫ বছর বয়সে বিবাহ হয়েছিল ওই মহিলার। কিন্তু দু’বছরের মধ্যেই তাকে তালাক দেন তার স্বামী। এরপর দ্বিতীয় বিবাহ, কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে দ্বিতীয় স্বামীও মারা যান। তখনই পাঁচ সন্তানের মা হয়েছিলেন ঐ মহিলা। এরপর নিজের সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি সিকলামাউতে থাকতে শুরু করেন তিনি। সে সময় সুকান্দার বাসিন্দা ব্রজেশের সঙ্গে আবার তার প্রেম সম্পর্ক তৈরি হয়। তৃতীয় স্বামীও সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মারা গেলে ভিন্ডে এসে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন ওই মহিলা।
এরপর থেকেই ২১ বছর বয়সী মিঠুনের সাথে শুরু হয় তার প্রেম সম্পর্ক। তার মেয়েদের অভিযোগ, তাদের আপত্তি সত্ত্বেও মিঠুনকে বিবাহ করতে উদ্যত হন তার মা। তারা আপত্তি করায় তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। মিঠুন অবশ্য জানিয়েছে, বহুদিন ধরেই একসাথে থাকছিলেন তারা। এমনকি ওই মহিলার মেয়েদের খরচও বহন করতেন তিনি।
ঘটনাটি থানায় পৌঁছানোর পর অবশ্য মহিলাকে আর বিবাহ করতে রাজি হচ্ছেন না ওই যুবক। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে ওই মহিলার কাউন্সিলিং করানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ডিএসপি পুনম থাপা জানান, দু’পক্ষকেই ডেকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। কথাও বলেছেন তাদের সঙ্গে।