বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের পরে ফের একবার শুরু হয়েছে দলবদলের গুঞ্জন। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত একটি গানের কথা উল্লেখ করে বোধ হয় বলাই যায়, ‘শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা।’ নির্বাচনের আগে একদিকে যেমন ছিল তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের ভিড়, তেমনি নির্বাচনের পর তৃণমূল (TMC) আবার ক্ষমতায় ফিরতেই বেশ কিছু নেতা মন বদল করেছেন। বিশেষত মুকুল রায় (Mukul Roy) ফের একবার ঘাসফুল শিবিরের প্রত্যাবর্তন করার পর থেকেই এই জল্পনা আরও বেশি জোরালো হয়ে উঠেছে। অনেকেরই আশঙ্কা, ফের একবার বিজেপির (BJP) ঘর ভেঙে তৃণমূলের হাত শক্ত করবেন আরও অনেকেই।
এখন সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে কাদের নাম? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে জল্পনা বাড়ছে অনেককে নিয়েই। তাদের মধ্যেই একজন হলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। মুকুল রায়ের সাথে তার ঘনিষ্ঠতার কথা কারও অজানা নয়। সে লুচি আলুর দমই হোক কিম্বা পারিবারিক সম্পর্কের দোহাই। নির্বাচনে হারের পর থেকে তেমন ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায়নি সব্যসাচীকে। এমনকি অনেক দলীয় বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
এরই মাঝে মুকুল রায়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ নিয়ে ফের একবার তৈরি হয়েছে জল্পনা। এই সাক্ষাতের প্রসঙ্গ অবশ্য এড়িয়ে যাননি সব্যসাচী। গতবারের মত এবারও তিনি জানিয়েছেন, “মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক।” একইভাবে দলবদল প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে আগের মতই তিনি বলেছেন, “আমি তো জ্যোতিষী নই, ভবিষ্যতে কি হবে আগে থেকে বলতে পারবোনা।” তৃণমূল ছাড়ার আগেও একই রকম বক্তব্য রেখেছিলেন সব্যসাচী। সেই সূত্র ধরেই বেশ কিছু মিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশ্লেষকেরা।
অন্যদিকে সাধারণভাবে যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন রাজ্য তাদের নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে। বদলে তাদের দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। কিন্তু সব্যসাচীর ক্ষেত্রে ঘটনাটি একটু অন্যরকম। তার ক্ষেত্রে রাজ্যের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, তার সঙ্গে একজন রাজ্যের নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে ঠিকই তবে কেন তাকে তুলে নেওয়া হয়নি সে কথা তিনি বলতে পারবেন না। অনেক বিশ্লেষকদের মতে নরমপন্থী এবং চরমপন্থীর যে বিভাজন রেখা টেনে ছিলেন মমতা (Mamata Banerjee ), সব্যসাচী হয়তো সেই দলে নরমপন্থীদের তালিকাভুক্ত। এখন আগামী একুশে জুলাই দলবদলুদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে। অন্তত দলীয় সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে যে একুশে জুলাইয়ের আগে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না তারা।