বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি যাদের নামের প্রস্তাব দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কাউকেই যে পিএসি চেয়ারম্যান করা হবে না সেটা আগেই টের পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। আর বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে বিজেপির সেই আশঙ্কা সত্যি হয়। বিজেপির কোনও বিধায়ককে পিএসি চেয়ারম্যান না করে দলত্যাগী মুকুল রায়কে সেই পদে বসান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও, তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মতে মুকুল রায় বিজেপিরই বিধায়ক অথবা সদস্য। আর সেই কারণে মুকুল রায়কে নিয়ে বিজেপির আপত্তি থাকার কথা না বলে আশা তাঁদের। তবে প্রশ্ন উঠছে যে, আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায় বিজেপির সদস্য হয় কী করে? মুকুলবাবুকে পিএসি চেয়ারম্যান করার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে একটাই প্রশ্ন ছিল, বিজেপি এবার কী করবে?
সেই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না পাওয়া গেলেও, সূত্রের খবর অনুযায়ী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যে রণকৌশল সাজিয়ে নিয়েছেন। ওনার নেতৃত্বে মঙ্গলবার থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছক কষে ময়দানে নামতে চলেছেন বিজেপির বিধায়করা।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে আলোচনার পর বিধানসভার বাকি ৯টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বিজেপির বিধায়করা। অনৈতিক ভাবে মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদেই তাঁরা এই পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খুব শীঘ্রই ওনারা ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন।
এরপর বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে কুচ করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে রাজ্যপালের কাছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন তাঁরা। বিজেপির বিধায়করা বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগ জানাবেন রাজ্যপালের কাছে।