বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডের প্রতিবাদে গত ২৫ শে জুন আচমকাই স্বাস্থ্য ভবনে (swastha bhavan) উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের ঘরে একপ্রকার জোর করেই ঢুকে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতাকে সেদিন আটকানোর ক্ষমতা হয়নি স্বাস্থ্য ভবনের নিরাপত্তারক্ষী সুশীল দাসের।
এই ঘটনার পর থেকে ক্রমশই চড়তে থাকতে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। একে তো জোর করে স্বাস্থ্য ভবনে ঢুকে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তারউপর ভ্যাকসিন কান্ড নিয়ে যথোপোযুক্ত তদাকরির দাবি করেন। কিন্তু এসবের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের আঁচ এসে পড়ে নিরাপত্তারক্ষী সুশীল দাসের ওপর।
টাকির বাসিন্দা নিরাপত্তারক্ষী সুশীল দাসকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করে শাসক দল। বছর ৬৩-র সুশীল দাস একজন প্রাক্তন বিএসএফ কর্মী। বর্তমানে সময়ে তাঁর আর্থিক অবস্থা খুবই সংকীন। ঘরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে রয়েছে, তাঁর চিকিৎসা এবং সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষী সুশীল দাস। তাঁকে চাকরী ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল সুশীলবাবুর।
এই ঘটনার পর নবান্নের বাকি নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া ভাষায় সতর্ক করে দেওয়া হয়, এই ধরণের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়। অন্যদিকে কাজ হারিয়ে সুশীলবাবু বলেন, ‘আর একবার সুযোগ দেওয়া হোক আমাকে, আরও একটা চাকরী দেওয়া হোক’।
সেদিন আচমকাই স্বাস্থ্য ভবনে যাওয়ার প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, ‘না জানিয়েই স্বাস্থ্য ভবনে এসেছি। আজকে নবান্নে তেমন কিছু নেই, সব জেনে শুনেই না জানিয়েই আমরা এসেছি। আগে থাকতে জানালে, স্বাস্থ্য সচিব যদি পালিয়ে যেতেন’।
তবে এবার নিরাপত্তারক্ষীকে কাজ থেকে ছাটাইয়ের প্রসঙ্গে শুভন্দু অধিকারী বলেন, ‘সুশীলবাবুর স্ত্রী একজন তৃণমূল পঞ্চায়েত কর্মী। ছেলের শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সেদিন স্বাস্থ্য ভবনে বিজেপি বিধায়কদের আটকাতে না পারায় কারণে, চাকরী গেল এই অসহায় মানুষটির’।