বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) সোমবার গোহত্যা আর বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে রাজ্যের বিধানসভায় গবাদি পশু সংরক্ষণ বিল পেশ করেছেন। শর্মা বলেন, নতুন আইনের উদ্দেশ্য হ’ল সক্ষম কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত আইন ব্যতীত অন্য জায়গায় গরুর মাংস বিক্রি ও ক্রয় নিষিদ্ধ করা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটি নতুন আইন বানানো আর পুরনো গবাদি পশু সংরক্ষণ আইন, ১৯৫৯ কে বাতিল করার দরকার ছিল। পুরনো আইনে গবাদি পশু জবাই, খাওয়া ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যাপ্ত আইনী বিধানের অভাব রয়েছে। নতুন আইন এটা সুনিশ্চিত করবে যে, সেইসব এলাকায় গোমাংসের ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হবে না, যেখানে হিন্দু, জৈন শিখ আর গোমাংস না খাওয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে। এছাড়াও কোনও মন্দির এবং হিন্দুদের ধার্মিক স্থলের ৫ কিমির মধ্যেও গোমাংস পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে।
নতুন বিলে জরুরি নথিপত্র না থাকলে গরু এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া এবং কেনা-বেচা অবৈধ বলে গণ্য করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন বিলে আইন অমান্য হলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করার নিদান দেওয়া হয়েছে। বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দোষী সাব্যস্ত হলে কমপক্ষে তিন বছর এবং সর্বাধিক ৮ বছরের সাজা এবং ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দুই’ই হবে। নতুন আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি একই অপরাধ দু’বার করে, তাহলে তাঁর সাজা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
মিডিয়া রিপোর্টস অনুযায়ী, এই আইন প্রণয়ন করার প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে গরু পাচারে রাশ টানা। গবাদিপশু পরিবহনে বিলে নির্দিষ্ট ছাড় দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, চারণভূমি, কৃষি বা পশুপালনের উদ্দেশ্যে জেলার কোথাও গবাদি পশু নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি প্রয়োজন হবে না। বিল অনুসারে, পশুচিকিত্সা অফিসার কেবলমাত্র গরু নয় এমন গবাদিপশু ১৪ বছরের বয়সের বেশি হলে শংসাপত্র জারি করবে। গরু বা বাছুর কেবল অক্ষম হলেই জবাই করা যাবে।
একই সাথে কেবল লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও স্বীকৃত কসাইখানাগুলিকে গবাদি পশু জবাই করার অনুমতি দেওয়া হবে। যদি কর্তৃপক্ষকে বৈধ দলিল সরবরাহ না করা হয় তবে নতুন আইন রাজ্যের অভ্যন্তরে বা বাইরে গরুজাতের পরিবহণ নিষিদ্ধ করবে। আইনটি আসাম জুড়ে ষাঁড়, গরু, বাছুর, পুরুষ এবং মহিলা মহিষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।