বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝিরামঘাটি হামলা এবং বিধায়ক ভীমা মান্দাবীর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত যেই মোস্ট ওয়ান্টেড নকশালি বিনোদ হেমলাকে (vinod hemla) খুঁজছিল এনআইএ এবং পুলিশ, সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আড়াই দশকের বেশী সময় ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গি গতিবিধি চালানো বিনোদ হেমলা সুকমা জেলার চিন্তলনগর থানা এলাকার বাসিন্দা ছিল। কুখ্যাত এই নকশাল কম্যান্ডার মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ আর ছত্তিসগড়ে সংগঠনের দায়িত্বে ছিল।
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, তিনমাস আগে সে মহারাষ্ট্রের গোন্দিয়া থেকে ছত্তিসগড়ের বস্তরে ফিরেছিল। দান্তেওয়ারার এসপি ডঃ অভিষেক পল্লব বিনোদের মৃত্যু নিয় বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার দুপুরে সে মারা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দান্তেওয়ারা জেলাতে ৪০-র বেশী মামলা দায়ের ছিল। পুলিশ বিনোদের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা আর এনআইএ ৫ লক্ষ টাকা রেখেছিল।
পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, শুধু নকশাল লিডার বিনোদই না তাঁর স্ত্রী ইঙ্গে হেমলা, পাঁচ মেয়ে ললিতা, যোগী, মঙ্গলি, নন্দে, ব্যান্ডোও নকশালি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। এছাড়াও ছেলে যোগাও নকশালে নাম লিখেয়েছিল। এদের মধ্যে মঙ্গলির স্বামী জগদীশ দুই বছর আগে দান্তেওয়ারার গুমিয়াপালে পুলিশের এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিল।
বিনোদ হেমলা ১৯৯৫ সালে গ্রেফতারও হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও সে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে যায়। দরভা ডিভিশন কমিটি হওয়ার পর ২০০৬ সালে ম্যালঙ্গর এরিয়া কমিটি এবং দরভা ডিভিশনের সদস্য হিসেবে বিনোদ ব্যাপক সন্ত্রাসী গতিবিধি চালিয়েছিল। এরপর সংগঠন তাঁকে প্রোমোশন দিয়ে ম্যালঙ্গর এরিয়া কমিটির ইনচার্জ বানায়।
পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কমবেশি ৭৮ জন পুলিশকর্মী এবং সেনা জওয়ানের হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল বিনোদ হেমলা। এছাড়াও সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা, বাসে হামলার সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে। অবশেষে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হল।