৩ আদিবাসী নাবালিকার রহস্য মৃত্যু জলপাইগুড়িতে, পুকুর পাড়ে ভেসে উঠল দেহ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুকুর পাড়ে ভেসে ওঠা ৩ আদিবাসী নাবালিকার (tribal minor girl) দেহ নিয়ে চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) রায়পুর এলাকায়। কিভাবে তাঁরা এই এই পুকুরের মধ্যে পড়ে গেল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে। ওই এলাকার ৩ আদিবাসী নাবালিকা বছর ১৫-র সোনামুনি তুড়ি, বছর ১১-র অনু মাঝি এবং ১৪ বছর বয়সী আগস্তুনা ওড়াওকে দুপুরের পর থেকে তাঁদের আর দেখতে পাওয়া যায়নি। এরা সকলেই রায়পুর চা বাগানেরই আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা।

Mysterious death of 3 indigenous minors in Jalpaiguri

বুধবার দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও নাবালিকারা বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যায় তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। সকলে মিলে তাঁদের খুঁজতে শুরু করে। তাঁদের খুঁজতে খুঁজতে ওই এলাকার এক পুকুর পাড়ে এক পাটি জুতো দেখে সন্দেহ হতেই পুকুরে নেমে খুঁজতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পুকুরের মধ্যে থেকেই ৩ নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা। তৎক্ষণাৎ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে দেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, নাবালিকাদের পোশাক পুকুরে ভাসতে দেখেই উদ্ধার করতে নামে স্থানীয়রা। দেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথিক তদন্তে দেখে মনে হচ্ছে, সাঁতার না জানার কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই ঘটনার পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা এবং তাঁরা কেন সেখানে গিয়েছিল- তাও খতিয়ে দেখা হবে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর