ধর্ম বদলে ফেলার চাপ দিচ্ছে স্ত্রী! আদালতের দ্বারস্থ হলেন অসহায় শিখ যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জোর করে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে অমৃতসরের এক শিখ যুবক চণ্ডীগড় জেলা আদালতে আর্জি দায়ের করে সাহায্যের আর্তি জানিয়েছে। অমৃতসরের শিখ যুবক চণ্ডীগড় ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করে জানিয়েছেন যে, ওনার স্ত্রী আর শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওনাকে ইসলাম ধর্ম কবুল করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তরলোচন নামের ওই যুবক আবেদন করেছেন যে, তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের যেন তাঁর উপর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

শিখ যুবক এও জানিয়েছেন যে, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর ছেলেকে সেখানে রেখে দিয়েছে এবং তাঁর খৎনা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। তারলোচন আদালতের কাছে ছেলের খৎনা রোখার জন্য আদেশ জারি করার আবেদন জানিয়েছেন।শিখ যুবক অভিযোগ করে জানান যে, পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নির্যাতিতর তরফ থেকে আইনজীবী দীক্ষিত আরোড়া আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতে জানানো হয়েছে যে, অমৃতসরের বাসিন্দা শিখ যুবক ২০০৮ সালের ১৭ নভেম্বর এক মুসলিম যুবতীকে বিয়ে করেছিলেন।

আদালতে জানানো হয়, দু’জনাই একই কোম্পানিতে চাকরি করত এরপর তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং তাঁরা অমৃতসরের গুরুদ্বারা সাহিবে বিয়ে করে নেয়। যুবতীর পরিবার তাঁকে ইসলাম কবুল করার জন্য চাপ দেয়। তাঁদের চাপ থেকে মুক্ত হতে শিখ যুবক নিজের স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লী চলে যায়। সেখানেই তাঁরা চাকরি করে। এরপর তাঁরা আবার অমৃতসর ফিরে আসে এবং ২০১৫ পর্যন্ত সেখানেই ছিল। কিন্তু এরই মাঝে তাঁর স্ত্রী তাঁকে চণ্ডীগড় যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে।

শিখ যুবক আদালতে জানায়, ২০১৬ সালে তাঁরা চণ্ডীগড় চলে যায় আর সেখানে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরু করে। তখন থেকেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে অনেকবার পাগরি খোলা এবং চুল কাটানোর জন্য চাপ দেয়। তাঁরা শিখ যুবককে একজন মুসলিমের মতো থাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। শিখ যুবক জানায়, তাঁর ছেলেকেও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরপর দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হওয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং তাঁর ছেলেকে সেখানেই রেখে দেয়। শিখ যুবক জানায়, ইসলাম কবুল করার জন্য তাঁকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর