বখরি ঈদের আগে বর্ধমানে গরু চুরি করতে গিয়ে জুটলো গণধোলাই , পোস্টে বেঁধে করা হল ন্যাড়া

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় আছে ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা।’ গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে গরু চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর সম্ভবত মনে মনে একথাই ভাবছিলেন ধৃত গরু চোর। উল্লখ্য সামনেই এগিয়ে আসছে বখরি ঈদের দিন। আর তার আগেই এবার বর্ধমানের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে বেওয়ারিশ গরু চুরির ঘটনা সামনে এল।

জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে  বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে। সেখানে প্রায়শই চরে বেড়াতে দেখা যায় কয়েকটি বেওয়ারিশ গরু। একথা এলাকার প্রায় সকলের জানা। অনান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও হাসপাতাল চত্বরে চরে বেড়াচ্ছিল কয়েকটি গরু। এমন সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে একটি গরু নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।

তবে গোটা বিষয়টি নজরে পড়ে যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েক জন অ্যাম্বুলেন্স চালকের। দুষ্কৃতীদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা তাদের পথ আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে অবস্থা বেগতিক দেখে চম্পট দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তবে সবাই পালিয়ে গেলেও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের হাতে ধরা পড়ে যান একজন দুষ্কৃতী।

এরইমধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে জড়ো হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা সবাই মিলে ওই দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে  পোস্টের সাথে বেঁধে জানতে চান গরু নিয়ে তারা কোথায় যাচ্ছিলেন। সেইসাথে জানতে চাওয়া হয় ওই দুষ্কৃতীর নাম পরিচয়। বেধড়ক মারধোর খাওয়ার পরেও সদুত্তর না মেলায় শেষমেষ তার মাথার চুল কামিয়ে ন্যাড়া করে দেন স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।

এপ্রসঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স চালক শেখ রাকিবুল জানিয়েছেন, “রাতের অন্ধকারে তিনজন মিলে গরু চুরির উদ্দেশে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে পড়ে। গরু বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা পেত ওরা। তার আগেই আমরা কয়েকজন মিলে ধরে ফেলি। কিন্তু আটক দুষ্কৃতীর নাম, পরিচয় জানা যায়নি। ”

অন্যদিকে পরে খবর পেয়ে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে চলে আসে কোতয়ালি থানার পুলিশ।এরপরেই আটক দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান কুরবানির ইদের আগের বেওয়ারিশ গরু চুরি করতে গিয়েই ধরা পড়েছে ওই গরু চোর।

ad

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর