বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গ্রাম গঞ্জে স্বাভাবিকভাবেই অনেকে স্বপ্ন দেখেন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজের কেরিয়ার গড়ে তোলার। কিন্তু শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে বাংলা মাধ্যম বা মাতৃভাষায় পড়াশোনা করে আসার জেরে অনেকেরই ইংরেজি নিয়ে তৈরি হয় সমস্যা। বিশেষত প্রযুক্তিবিদ্যার জটিল জিনিসগুলো বুঝতে এবং লিখতে যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এবার এই সমস্যা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্তি দিতে বড় পদক্ষেপ নিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি।
ছাত্র-ছাত্রীদের এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে দেশের প্রায় ১৪ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ জানালো, এরপর থেকে আর শুধুমাত্র ইংরাজী নয় অন্যান্য তেরোটি আঞ্চলিক ভাষাতেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হবে। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (AICTE)। তাদের আশা, মাতৃভাষায় প্রযুক্তিবিদ্যার পঠন-পাঠন, আগামী দিনে আরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
In order to build an equitable education system, provide seamless learning opportunities and to develop innovative education models of the future, I call upon engineering colleges and technical institutions to promote higher education in the mother tongue.
— Dharmendra Pradhan (@dpradhanbjp) July 17, 2021
জানানো হয়েছে এই তেরোটি আঞ্চলিক ভাষার তালিকায় রয়েছে, হিন্দি, মারাঠি, তামিল, তেলগু, কান্নাড়া, গুজরাটি, মালয়ালম, বাংলা, অসমীয়া, পাঞ্জাবি এবং ওড়িয়াও। শুধু তাই নয় এই আঞ্চলিক ভাষাতে বইপত্র ছাপার জন্যও উদ্যোগ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কলেজ গুলি। ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’-এর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন নতুন শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও (Dharmendra Pradhan)। সাথে সাথেই তিনি অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলির উদ্দেশ্যেও মাতৃভাষায় উচ্চ শিক্ষা দানের আহ্বান জানান।
The Vice President, Shri M Venkaiah Naidu has welcomed the decision of 14 engineering colleges across 8 states to offer courses in regional languages in select branches from the new academic year.
— Vice President of India (@VPIndia) July 17, 2021
এই পদক্ষেপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুও (venkaiah Naidu)। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং অন্ধপ্রদেশ থেকে আসা ছাত্রছাত্রীরা বাংলা, তেলেগু, মারাঠি এবং তামিলে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের ছাত্র-ছাত্রীরা পাবেন হিন্দিতে পড়াশোনা করার সুযোগ। যার জেরে আগামী দিনে উদ্ভাবনী ক্ষমতা আরও অনেক বেশি বাড়বে, অন্তত ভাষা তার ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে না।