ডিজে বাজিয়ে, জোড়া পাঁঠা বলি দিয়ে শহীদ দিবসে চলল ভূরিভোজ! বিতর্কে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের জুলাই যেখানে গোটা দেশ জুড়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল তৃণমূল (tmc) নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাষণ, সেখানে ঘাটালে (Ghatal) ডিজে বাজিয়ে করা হল পুজো এবং ভূরিভোজের আয়োজন। আর সমস্ত ঘটনাটাই ঘটল ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দল বড় সাফল্য পেয়েছে। তবে নিজে জয়ের স্বাদ নিতে না পারলেও, দলের জন্য করা মানত পূর্ণ করতে এক বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শংকর দোলুই। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হওয়ার আগেই দুপুরে জোড়া পাঁঠা সাজিয়ে, ডিজে বাজিয়ে, অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে, প্রায় ২ কিমি রাস্তা পাড়ি দিয়ে পৌঁছান আনন্দপুরের কালী মন্দিরে। একুশের জয়ের পর ২৪-র লক্ষ্যে নেত্রীর দিল্লী দখলের স্বপ্নপূরণের কামনায় ঘাটালের মনসুকা আনন্দপুরের ৪০০ বছরের পুরানো কালী মন্দিরে ধুমধাম করে পুজো করা হয়।

vvvv 1

পুজো শেষে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থাও। এমনকি এদিন নিজেও ঢাক বাজিয়ে, করোনা আবহে রীতিমত অনুষ্ঠানের ভঙ্গিতেই এই পুজো এবং খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেন শংকর দোলুই। পুজোর জন্য নিয়ে যাওয়া জোড়া পাঁঠা বলি দিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

তবে এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। যেখানে করোনা আবহে মানুষের মধ্যে দূরত্ব বিধি আবশ্যক রয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে ধুমধাম করে এই অনুষ্ঠান করার কারণে সমালোচিতও হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘একুশে ঐতিহাসিক নির্বাচন ছিল। সেই নির্বাচনে দিল্লী থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেও বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। বাংলার মানুষ বাংলার মেয়েকে বেছে নিয়েছে। তাই এখানকার মানুষের নেওয়া শপথ মত, আমরা আনন্দপুরের ৪০০ বছরের পুরানো কালী মন্দিরে পুজো দিচ্ছি’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর