বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা কালে বিধি নিষেধের উপেক্ষা করেই, বকরি ইদের জন্য ৩ দিন লকডাউনে ছাড় ঘোষণা করেছিল কেরল (kerala) সরকার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচিতও হয়েছিলেন তিনি। তবে এই ছাড় দেওয়ার ফলে কেরলে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেশকিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার খবর সামনে এসেছে।
বর্তমান সময়ে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে কেরল বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। বাড়তে থাকা সংক্রমণের জেরে সেখানে জারী হয়েছে সাপ্তাহিক লকডাউনও। এমনকি কেরলে তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কায়, সরকারকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। তবে এরই মধ্যে ইদ উপলক্ষ্যে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা করেছিলেন কেরল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
কেরলের বামপন্থী ভাবধারার সরকার ইদ উপলক্ষ্যে তাঁর রাজ্যে ১৪, ১৯ এবং ২০ শে জুলাই লকডাউনে ছাড় ঘোষণা করেছিলেন। কেরল সরকার ঘোষণা করেছিল, প্রয়োজনীয় দ্রবাদির দোকান ছাড়াও, জামাকাপড়, জুতো, ইলেকট্রনিক্স, গহনার দোকান খোলা থাকবে এই দিনগুলোতে। পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানগুলিতে একসঙ্গে ৪০ জন করে মানুষ গিয়ে প্রার্থনা করার অনুমতিও দিয়েছিল কেরল সরকার।
কেরল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের এই সিদ্ধান্তের পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল, রাজনৈতিক দিক থেকে সুবিধা পাওয়ার জন্য কেরল সরকার দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিয়ে খেলা করতে পারেন না। নিজের রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার।
কেরল সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে সেখানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে দ্রুত গতিতে। এই তিনদিনেই কেরলে সংক্রমণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গিত ৩ দিনেই সংক্রমণের সংখ্যা ৯০০০ থেকে ১৭০০০ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে চীনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসেও দেখা মিলেছে কেরলে।
Made in India