বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলি হোক বা টলি, বিনোদনের দুই মহলেই কান পাতলে শুধু শোনা যাচ্ছে বিচ্ছেদের খবর। টলিউডের শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, নুসরত জাহান বা বলিউডের আমির-কিরণ এক বছরের মধ্যেই সংসার ভেঙে দু টুকরো হয়েছে এই সব তারকাদের। বেশ কিছুদিন আগে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল স্ত্রী বরখা বিশতের (barkha bisht) সঙ্গে নাকি মোটেই আর বনিবনা হচ্ছে না ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের (indraneil sengupta)। মাঝে ধামাচাপা পড়ে গেলেও এখন ফের মাথাচাড়া দিতে উঠেছে বিতর্ক।
টলিউড ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেততা ইন্দ্রনীল নাকি আলাদা থাকছেন স্ত্রী বরখার থেকে। দীর্ঘ ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। রয়েছে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানও। কোনোদিন কোনো মনোমালিন্যের খবর শোনা যায়নি ইন্দ্রনীল বরখার সংসারে। এখন তাঁরাই নাকি গত কয়েক মাস ধরে হাঁড়ি আলাদা করেছেন।
বিচ্ছেদের খবর চেপে রাখতে অনেক চেষ্টাই করেছিলেন তারকা দম্পতি। কিন্তু কথায় বলে সুখবরের থেকে কেচ্ছা কাহিনির খবর আগে ছড়ায়। শোনা যাচ্ছে ইন্দ্রনীল নাকি এখন থাকছেন তাঁর মা বাবার সঙ্গে। অপরদিকে ফ্ল্যাটে মেয়েকে নিয়ে একাই রয়েছেন বরখা। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি সোশ্যাল জগতেও দেখা গিয়েছে বিচ্ছেদের আভাস। বেশ কিছুদিন আগেই ইন্দ্রনীলকে ‘আনফলো’ করেছেন বরখা।
কিন্তু ১৩ বছর পর এই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত কেন দম্পতির? ইন্দ্রনীল বা বরখা কেউই মুখ খুলতে চাননি এই বিষয়ে। শুধু দুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিয়ে এখনি ভাঙতে চান না তাঁরা। শুধু সম্পর্ক থেকে কিছুদিনের বিরতি চান। অপরদিকে নিন্দুকরা ইতিমধ্যেই এই কেচ্ছায় টেনে এনেছে অভিনেত্রী ইশা সাহার নাম।
এর আগেও ইন্দ্রনীল ও ইশার নাম জড়িয়ে এমন গুঞ্জন উঠেছিল। ‘তরুলতার ভূত’নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ইন্দ্রনীল। বিপরীতে ছিলেন ইশা। শোনা যায়, ছবির সেটে দুজনের ঘনিষ্ঠতা চোখে পড়েছিল অনেকেরই। কিন্তু তখন কেউ পাত্তা দেয়নি তেমন। মার্চের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের পরের সঙ্গে ছবি দেওয়া বন্ধ করে দেন ইন্দ্রনীল ও বরখা।
এই বিষয়ে তখন ইশা বলেছিলেন, অনেকে বলে নায়িকা হওয়া ও গুজব রটা নাকি একটা ‘প্যাকেজ’। আগে এই ধরনের গুজব রটলে মন খারাপ হত। এখনো হয় তবে অনেকটাই সয়ে গিয়েছে বলে জানান ইশা। তাঁর পরিবারে তিনিই প্রথম যিনি অভিনয় জগতে এসেছেন। তাই এই ধরনের গুজব তাঁর আত্মীয় স্বজনের কানে গেলে তারা কী ভাববেন সেই চিন্তাই ভাবায় ইশাকে। গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন ইন্দ্রনীলও। তিনি তখন বলেছিলেন তাঁদের দাম্পত্য জীবনে কোনো ফাটলই ধরেনি।