বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হতে না হতেই রাজ্যজুড়ে নানা জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিক্ষোভের দৃশ্য সামনে এসেছে। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদের এমন একটি স্কুলও রয়েছে যেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ছাত্ররা। একইরকম বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল হুগলির আরামবাগেও। স্কুলের তালিকা অনুযায়ী, এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল ১৩৭ জন ছাত্রী। কিন্তু বিকল্প পদ্ধতিতে রেজাল্ট প্রকাশিত হলেও ফলাফলের মনোমত হয়নি কারোরই।
আরামবাগ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ও অভিভাবকেরা কার্যত বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন ফলাফল প্রকাশের পরেই। স্কুল থেকে রেজাল্টও সংগ্রহ করেনি কেউই। তাদের দাবি, সরকার ফল প্রকাশের জন্য যে পদ্ধতির কথা ঘোষণা করেছেন, পদ্ধতি অনুযায়ী নাম্বার আরও বাড়বে এই ছাত্রীদের। গননায় নিশ্চয়ই কোথাও ভুল হয়েছে।
তাদের এই আশঙ্কাই এবার সঠিক বলে প্রমাণিত হলো। কার্যত রাতারাতি নম্বর বাড়ানো হলো ১৩৭ জন ছাত্রী। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজশ্রী দে বলেন, নম্বর ক্যালকুলেশনে বড়োসড়ো ভুল ছিল। স্কুলের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরও বেড়েছে। দেবলীনা দাস নামে যে ছাত্রী প্রথম হয়েছিল এই স্কুলে তার নম্বর ছিল ৪৬৩। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮২ তে। একইসঙ্গে মধুবন সরকারেরও নম্বর বেড়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮২।
স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখেই গোটা বিষয়টি ম্যানেজমেন্টের কাছে জানিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর গোটা বিষয়টি পৌঁছায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে। দেখা যায়, নম্বর গণনায় বেশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে। আর সেই কারণেই নম্বর বাড়ানো হয়েছে ঐ সমস্ত ছাত্রীর।