গোপন ডেরা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বহিরাগত আখ্যা দিয়ে বিশেষ বার্তা KLO প্রধানের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের হাত ধরে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছিল বহিরাগত ইস্যু। এবার সেই ইস্যুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বিঁধলেন কেএলও বা কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধান জীবন সিংহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জীবন সিংয়ের (Jivan Singh) নামে আগেই রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা। এদিন ফের একবার নিজের গোপন ডেরা থেকে ভিডিও বার্তায় রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কেএলও (KLO) প্রধান। যদিও এই ভিডিও বার্তা সঠিক কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেনি বাংলা হান্ট।

কয়েকদিন আগেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন, আলিপুরদুয়ারের সংসদ তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Jon Barla)। যা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ছিল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি বাংলা ভাগ করার চক্রান্ত চালাচ্ছে বলেও ব্যখ্যা দিয়েছিল তৃণমূল। এদিন কার্যত নিজের ভিডিও বার্তায় বার্লার মতকেই সমর্থন করেন কেএলও প্রধান। তার মতে, বহিরাগত এক সরকারের শাসন চলছে। পৃথক রাজ্য হলে এই বহিরাগত সরকারের অপশাসন থেকে মুক্তি পাবে জনগণ।

জীবন কেন সরকারকে বহিরাগত বলছেন তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এই বার্তায়। কেএলও সুপ্রিমোর কথায়, ”ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে এবং পরে কোচ সাম্রাজ্য স্বাধীন রাজ্য ছিল। পরে ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত হয় এই ভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সেখানকার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জেরে পূর্ব বঙ্গের বাঙালিরা এই ভূমিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।’’ আর সেই কারণেই মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banarjee) বাংলা ভাগের তত্ত্ব সঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মাসখানেক আগেও কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন কেএলও প্রধান। তাই এই ভিডিওবার্তা আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই জীবন সিংহের বিরুদ্ধে বিধাননগরের ইলেট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ইউএপিএ অর্থাৎ রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে যতদূর সম্ভব আপাতত মায়ানমারের লুকিয়ে রয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জন বার্লা আগেও যখন পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছিলেন তা সমর্থন করেছিলেন কেএলও প্রধান।

 

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর