বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার কোনও বড় বিষয় না। ২৬ জুলাইন এক পাকিস্তানি হিন্দু তরুণী রীনা মেঘবারকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ছয় মাস আগে রীনাকে পাকিস্তানি মুসলিমরা অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করে ছিল।
এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হচ্ছে, যেখানে এক নাবালক হিন্দুর কলার ধরে তাঁকে ‘আল্লাহ-হু-আকবর” বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি হিন্দু ভগবানদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করতেও বাধ্য করা হচ্ছে তাঁকে। গোটা ঘটনার ভিডিও অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের মোবাইল ক্যামেরাই বন্দি করে ইউটিউবে আপলোড করে দেয়। এই ঘটনা ২১ জুন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রান্তে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
https://twitter.com/Bharatojha03/status/1419943931689639937
অভিযুক্ত আবদুল দাউদ পাকিস্তানের সিন্ধ প্রান্তের থারের কোল ব্লকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই ওই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেছিলেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তুমুল বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে, এরপর ইউটিউব সেটি ডিলিট করে দেয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পাকিস্তানের ক্ষমতায় থাকা পিটিআই পার্টির হিন্দু সাংসদ তথা পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের সংসদীয় সচিব লাল চন্দ্র মলহি টুইট করে জানান, ‘থারপারকরে এক হিন্দু বাচ্চাকে সেখানকার কয়লা ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার নিজের ভগবানের প্রতি আপত্তিজনক শব্দ বলার জন্য বাধ্য করে। ওই এলাকায় বহু মানুষ লাগাতার সংখ্যালঘুদের ধার্মিক ভাবাবেগে আঘাত করার চেষ্টা করছে। আপরা পুলিশকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শীঘ্রই গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছি।”
تھرپارکر میں ہندو لڑکے کو زبردستی اللہ اکبر کے نعرے لگوانے اور بھگوان کے بارے میں گستاخانہ کلمات کی ادائیگی کیلئے مجبور کرنے کی ویڈیو وائرل
سربراہ پاکستان ہندو کونسل ڈاکٹر رميش کمار وانکوانی کا ویڈیو پیغام pic.twitter.com/cccY2IXBbN
— Dr. Ramesh Vankwani (@RVankwani) July 27, 2021
এই বিষয়ে ইমরান খানের (Imran Khan) পার্টির আরও এক হিন্দু সাংসদ তথা পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের সভাপতি রমেশ ভঙ্কওয়ানি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অ্যাকশন নিয়েছি। আমি নিজে সিন্ধের আইজির সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।