বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪-র আগে বিরোধী ঐক্য মজবুত করতে দিল্লী কুচ করেছেন তৃণমূল (All India Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। দিল্লীতে গিয়ে একের পর এক বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল, ভ্যাকসিন আর রাজ্যে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর নিতিন গড়কড়ির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ওনার মূল উদ্দেশ্য না। তিনি দিল্লী গেছেন বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলকে এক করে ২০২৪-র নির্বাচনে বিজেপির সরকারকে মসনদ থেকে সরাতে।
সোমবার দিল্লী সফরে গিয়ে বিরোধীদের একাধিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। কিন্তু বিরোধীদের মধ্যে অন্যতম মুখ শরদ (Sharad Pawar) পাওয়ারের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত বৈঠক হয়ে ওঠেনি ওনার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশের ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল শরদ পাওয়ারকে। কিন্তু এর পর থেকে ওনাকে আর দেখা যাচ্ছে না। শোনা গিয়েছিল যে, শরদ পাওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন, কিন্তু তিনিও দেখা দিলেন না।
তৃণমূলের সূত্রের মতে, শরদ পাওয়ারকে বিরোধী জোটের মধ্যমণি করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর দিল্লী যাওয়ার পর থেকেই ওনার অনুপস্থিতি লোকসভা নির্বাচনের আগে জোটের ঐক্যবদ্ধ হওয়া নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলছে। এটাও প্রশ্ন উঠছে যে, জোট নিয়ে কী আদৌ সিরিয়াস এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার?
ঠিক এই রকম কাণ্ড ২০১২ সালেও ঘটেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেই সময় বিরোধীদের এক করে এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তখন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদব মমতার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু একদম মোক্ষম সময়ে মুলায়ম সিং পাল্টি মেরে দেন। সেই সময়ের মুলায়ম সিংয়ের আচরণ আর বর্তমানে শরদ পাওয়ারের অনুপস্থিতি ওয়াকিবহাল মহলের মতে প্রায় একই রকম লাগছে।