বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দিল্লী সফর সফল বলছেন এবং বিরোধীদের একজোট করার কথা বলছেন ঠিকই। কিন্তু ওনার প্রচেষ্টায় বিরোধীরাই প্রশ্ন তোলা শুরু করে দিয়েছে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা বীরাপ্পা মইলি পরিস্কার ভাবে বলেছেন যে, যদি মোদীর বিরোধিতার জন্য বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেটা সবথেকে বড় ভুল হবে।
কংগ্রেস নেতার এই বয়ানে অনেক দলের নেতারাই সহমত পোষণ করেছেন। কারণ, বীরাপ্পা মইলির এই বয়ানের বিরুদ্ধে এখনও কোনও বিরোধী দলের নেতাকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। এমনকি কিছু বিরোধী নেতা এটাও ভাবছে যে, লোকসভা ভোটের জন্য বিরোধীদের একজোট করতে একটু বেশিই তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে হারিয়ে বড় জয় হাসিল করার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্র সরকারকে গদি ছাড়া করতে উঠেপড়ে লেগেছে। মোদী সরকারকে কেন্দ্র থেকে সরাতে মমতা ব্যানার্জী আরও একবার বিরোধীদের এক করার প্রচেষ্টায় নেমে পড়েছেন। একদিকে যখন বিরোধীদের এক করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, তখন আরেকদিকে সেই একতা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। কারণ বিরোধীদের অ্যাজেন্ডা শুধু মোদীর সরকারকে হারানোর, আর কিছু নয়।
বিরোধী শিবির নিয়ে হওয়া চর্চার মধ্যে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা বীরাপ্পা মইলি বলেছেন যে, বিরোধীদের এজেন্ডা মোদী বিরোধী না হয়ে জনতার সামনে একটি ভালো বিকল্প পেশ করা উচিৎ। বিরোধী দলগুলি এক হয়ে একটি অ্যাজেন্ডা স্থির করা উচিৎ, যার মাধ্যমে তাঁরা জনতাকে একটি ভালো বিকল্প পেশ করার ভরসা দিতে পারে। কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলির এই কথা অন্যান্য নেতারাও স্বীকার করেছেন।
লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা মনোজ ঝাঁ বলেন, বিরোধীদের এক করা লক্ষ্য মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বদলে, গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক সংস্থাগুলিকে বাঁচানো হওয়া উচিৎ। বিরোধীদের উচিৎ এই অ্যাজেন্ডা নিয়েই জনতার সামনে যাওয়া।
অন্যদিকে, শিরোমণি আকালি দলে নেতা নরেশ গুজরাল বলেন, বিরোধীদের এই অভিযানের শুরু এখন থেকেই করা অনেক তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে। লোকসভার নির্বাচন আসতে এখনও তিন বছর বাকি রয়েছে। তাঁর আগে অনেক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। সেই নির্বাচনের ফলাফল দেখার পরেই এই অভিযান শুরু করা উচিৎ।