ঠিক যেন সিনেমা! ধর্ষককে ধরতে তাঁর সঙ্গেই বন্ধুত্ব, তারপর ভরল গারদে! মহিলা SI-কে কুর্নিশ সকলের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নাবালিকা এক মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে, দিল্লী (delhi) পুলিশের মহিলা সাব ইন্সপেক্টর প্রিয়াঙ্কা সোনি (priyanka saini) যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন, তাঁর জন্য কুর্নিশ জানাল সকলেই। এসআই প্রিয়াঙ্কা সোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হল সাধারণ নাগরিক।

ডাবরি থানায় কর্মরত দিল্লী পুলিশের এসআই প্রিয়াঙ্কা সোনি প্রথমে অভিযুক্তের সঙ্গে স্যোশাল নেটয়ার্কিং সাইটে বন্ধুত্ব করে। এরপর বন্ধুত্বের আছিলায় একদিন দেখা করার ভান করেন ওই মহিলা এসআই। রেস্তোরাঁয় দেখা করার নাম করেই, জাল বিছিয়ে গ্রেফতার করেন ওই অভিযুক্তকে।

অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, কয়েকমাস আগে তাঁর বাড়ির পাশেই এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। এরপর একদিন হঠাৎ নিপীড়িতা মেয়েটির ফোন ধরা বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত, এমনকি নম্বরও বদল করে দেয়।

নাবালিকার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ অপরাধীকে ধরতে বাঁধা পায়। কারণ, মোবাইল নম্বর বদল করার ফলে, পুলিশের কাছেও বিষয়টা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়ে। এরপর এসআই প্রিয়াঙ্কা সোনি ফেসবুকে খুঁজতে শুরু করেন অভিযুক্তকে। অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ফেসবুকে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায় অভিযুক্তকে।

এরপর গাঢ় বন্ধুত্ব জমায় অভিযুক্তের সঙ্গে। তারপর একদিন সুযোগ বুঝে জাল বিস্তার করে, দেখা করার কথা বলেন। আর যথারীতি পুলিশের ফাঁদে পা দেয় অভিযুক্ত। ৩১ শে জুলাই দেখা করার নাম করেই গ্রেফতার করেন ওই অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, দ্বারকায় একটি চুরির দোকানে কাজ করে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। আর এই ধরণের কাজ এই প্রথম নয়, গত দেড় বছর ধরে করছেন।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর