‘কাঁধে পদ্মফুল নয়, অশোকস্তম্ভ রয়েছে’, ত্রিপুরার পুলিশকে আঙুল উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি অভিষেকের!

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘কাঁধে অশোক স্তম্ভ নিয়ে কথা কথা বলছেন, পদ্ম ফুল নয়’, ঠিক এই ভাষাতেই ত্রিপুরায় পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে হুমকি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee)।

ত্রিপুরায় নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বারবার বাঁধা পেতে হচ্ছে সবুজ শিবিরকে। শনিবার দফায় দফায় বাঁধা পান তৃণমূল বাহিনী। দুপুরে সোনাচূড়ার কাছে যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের গাড়ির উপর হামলা হওয়ার পর, সন্ধ্যের সময় আবারও তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

tmc bjp fb 4

এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার রাতেই পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিক্ষোভে বসে তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা। কিন্তু মহামারী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে, রবিবার সকালে ত্রিপুরায় দলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং সহ তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রবিবার সকাল সকালই সেখানে হাজির হন ব্রাত্য বসু, তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং শ্রমিক নেত্রী দোলা সেনরা। এরপরই সেখানে পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে প্রশ্ন তুললেন, ‘ঠিক যে কারণে দেবাংশুদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই কারণে কেন বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না?’

শুধুমাত্র অভিষেকই নন, তাঁর সঙ্গে থানায় হাজির হন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন এবং কুণাল ঘোষও। থানায় বসেই অফিসার ইনচার্জের দিকে আঙ্গুল তুলে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘কাঁধে অশোক স্তম্ভ নিয়ে কথা কথা বলছেন, পদ্ম ফুল নয়। এটা ভুলে যাবেন না। ওদের প্রায় ৫০০ জন বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তাহলে ওদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? শুধু তৃণমূলের ছেলেরাই মার খাবে, এমনটা তো হতে পারে না’।

পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের শান্তভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, শোনে না সবুজ বাহিনী। ধৃতদের না ছেড়ে দিলে, তাঁরা সরবে না বলে জানিয়ে দেন অভিষেক।


Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর